ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ব্রিসবেনে অ্যাশেজের উত্তাপ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
ব্রিসবেনে অ্যাশেজের উত্তাপ ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাস কথা বলছে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। নতুন অধ্যায় লিখতে প্রস্তুত ইংল্যান্ড। ব্রিসবেনে উত্তেজনাপূর্ণ অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে অপ্রতিরোধ্য অজিদের বিপক্ষে ইংলিশদের মর্যাদার লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছেন দর্শকরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে ‍দু’দল। ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পেস ও বাউন্সি উইকেটে ২৯ বছর ধরে অপরাজেয় অস্ট্রেলিয়া।

সবশেষ ১৯৮৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের স্বাদ পেয়েছিল স্বাগতিক শিবির।

গ্যাবায় স্টার্ক-কামিন্স-হ্যাজলউডদের অজি আক্রমণ ত্রয়ী বিশ্বের যেকোনো টিমের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিতে পারে। ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্টও বিশ্বমানের। অভিজ্ঞ জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে আছেন স্টুয়ার্ট ব্রড, জেক বল ও ক্রিস উকস। অজিদের ধারাবাহিক সাফল্যের ভেন্যুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক ম্যাচ হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

দু’দলের মুখোমুখি লড়াই থেকেও আত্মবিশ্বাস নিতে পারে ভিজিটররা। সবশেষ পাঁচটি সিরিজের মধ্যে চারটিতেই জয়ী ইংল্যান্ড। তার মধ্যে ২০১০/১১ তে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতেই ৩-১ ব্যবধানে (পাঁচ ম্যাচ) হারের লজ্জায় ডোবায় ইংলিশরা।

তবে সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরটা ভুলে যেতেই চাইবে ইংলিশরা। ২০১৩-১৪ অ্যাশেজ সিরিজে এক মিচেল জনসনের আগুনে পেস তোপে ছাই হয়েছিল ইংল্যান্ড দল! চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ধবলধোলাই করে ৫-০ তে সিরিজ জিতে নিয়েছিল অজিরা। একাই ৩৭টি উইকেট নেওয়ার অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েছিলেন জনসন। ২০১৫ সালের নভেম্বর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন ৩৬ বছর বয়সী এই বাঁহাতি আইকনিক ফাস্ট বোলার।

নিজেদের সবশেষ পাঁচ ম্যাচের ফলাফলে এগিয়ে ইংল্যান্ড। চারটিতেই (একটি পরাজয়) জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। অন্যটিতে হার মানে। অন্যদিকে মাত্র এক ম্যাচ জয়ের বিপরীতে একটি ড্র ও তিন ম্যাচে হার মানে অস্ট্রেলিয়া।

সে যাই হোক, গ্যাবায় (ভেন্যু) অজিদের রেকর্ড অসাধারণ। তাইতো এখান থেকেই সিরিজ শুরু করছে স্টিভেন স্মিথের দল। এটিই জো রুটদের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে।

টেস্ট ক্রিকেটে মোট ৩৪১ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই পরাশক্তি। ১৪০ ম্যাচ জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের জয় ১০৮ ম্যাচে। ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয় ৯৩টি টেস্ট।

হাইভোল্টেজ ম্যাচটির একাদশ ঘোষণা করেছে দু’দলই। চূড়ান্ত টিম থেকে জ্যাকসন বার্ড ও চাঁদ সেয়ার্সকে বাদ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ট্রেনিং সেশনে ঘাড়ে আঘাত পেলেও ডেভিড ওয়ার্নারের খেলার সম্ভাবনাই বেশি।  পিঠের সমস্যায় ভুগলেও আছেন শন মার্শ।

দু’জনের জায়গায় স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। টপ অর্ডারে টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় ক্যামেরন ব্যানক্রফট। ২০১০ সালের পর নিজের প্রথম টেস্ট খেলবেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান টিম পেইন।

ইনজুরি শঙ্কা কাটিয়ে ইংলিশ একাদশে চতুর্থ পেসার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন জেক বল। ক্রেইগ ওভার্টনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেকের অপেক্ষা বাড়ছে। শেষের দিকে ব্যাটিং শক্তি বাড়ানোর জন্য আছেন মঈন আলী ও জনি বেয়ারস্টো।

ব্রিসবেন টেস্টের অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যামেরন ব্যানক্রফট, উসমান খাজা, স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), পিটার হ্যান্ডসকম্ব, শন মার্শ, টিম পেইন (উইকেটরক্ষক), মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন, জস হ্যাজলউড।

ইংল্যান্ড একাদশ: অ্যালিস্টার কুক, মার্ক স্টোনম্যান, জেমস ভিঞ্চি, জো রুট (অধিনায়ক), ডেভিড মালান, মঈন আলী, জনি বেয়ারস্টো (উইকেটরক্ষক), ক্রিস উকস, জেক বল, স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস অ্যান্ডারসন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ২২ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।