ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

গেইলের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে খুলনার বিদায়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৭
গেইলের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে খুলনার বিদায় ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ক্রিস গেইলের ব্যাটিং তাণ্ডবে বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনা টাইটান্সকে স্রেফ উড়িয়ে দিল রংপুর রাইডার্স। ১৬৮ রানের লক্ষ্যটা ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে অনায়াসেই টপকে গেছে তারা। ঝড়ো সেঞ্চুরিতে মাত্র ৫১ বলে ১২৬ রানে অপরাজিত থাকেন ‘ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব’।

বিপিএলের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। গতবার রাজশাহীর জার্সিতে ১২২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাব্বির রহমান।

 এক গেইলের কাছেই হার মেনে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল মাহমুদউল্লাহর দল। ফাইনালের ওঠার মিশনে মাশরাফির রংপুরের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। প্রতিপক্ষ লিগ পর্বের দুই শীর্ষ টিম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসের মধ্যকার প্রথম কোয়ালিফায়ারের বিজয়ী।

.অল্পের জন্য নিজের রেকর্ড ভেঙে বিপিএলের দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়তে পারেননি গেইল। তিন অঙ্কের ঘরে যেতে ৪৫টি বল খেলেন। ২০১২ সালে মিরপুরেই বরিশাল বার্নর্সের হয়ে সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে ৪৪ বলে শতক হাঁকিয়েছিলেন।

বিপিএলে এটি গেইলের চতুর্থ শতক। আর কারোরই একাধিক সেঞ্চুরির অর্জন নেই। তার হাত ধরে পঞ্চম আসরে প্রথম সেঞ্চুরি দেখলো দর্শকরা। ৫১ বলের বিস্ফোরক ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার ও ১৪টি ছক্কার মার। ২৩ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি।  গেইলকে সঙ্গ দিয়ে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ মিঠুন।

.ওপেনিংয়ে নামা সোহাগ গাজী ১ রানে সাজঘরে ফেরেন। ওয়ানডাউনে রানের খাতা না খুলেই বিদায় নেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। দু’টি উইকেটই নেন ক্যারিবীয় তরুণ পেসার জোফরা আর্চার। দলীয় ২৫ রানে দুই উইকেট হারালেও ৩৮ বছর বয়সী গেইলের ব্যাট থামাতে পারেননি টাটটান্স বোলাররা। ম্যাচ শেষ করে তবেই মাঠ ছাড়েন তিনি।

এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পঞ্চম আসরের হাইভোল্টেজ এলিমিনেটর চ্যালেঞ্জে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। শেষদিকে দ্রুত রান তুলে লড়াকু স্কোর গড়ে খুলনা। দুই ক্যারিবিয়ান কার্লোস ব্রাথওয়েট ৯ বলে ২৫ ও জোফরা আর্চার ৩ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।

.ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তকে (১৫) ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন সোহাগ গাজী। ১৩ রান যোগ হতে লাসিথ মালিঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন (১১)। ৩৪ রানে দুই উইকেট হারায় খুলনা।

ঝড়ো ইনিংসের আভাস দিয়ে ফিরে যান টাইটান্স ক্যাপ্টেন। বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর বলে লং-অনে সোহাগ গাজীর হাতে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ৫৬ রানে আউট হওয়ার আগে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬ বলে করেন ২০ রান।

.

১৭তম ওভারে ফিনিশার আরিফুল হককে (২৯) রবি বোপারার তালুবন্দি করে উদযাপনে মাতেন রুবেল হোসেন। তার পাঁচ ওভার আগে মাইকেল ক্লিনগারের (২১) স্ট্যাম্পে আঘাত হেনে উইকেটের খাতায় নাম লেখান বোপারা। শেষ ওভারে দারুণ স্লোয়ারে নিকোলাস পুরানকে (২২ বলে ২৮) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মালিঙ্গা।

.চার ওভারে ৪৯ রানের খরুচে বোলিংয়ে দু’টি উইকেট পান শ্রীলঙ্কান পেস আইকন মালিঙ্গা। একটি করে নেন সোহাগ গাজী, নাজমুল ইসলাম, রুবেল ও বোপারা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন মাশরাফি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।