বছরের শুরুতেই শ্রীলঙ্কা সিরিজ। নতুন বছরে আপনাদের চ্যালেঞ্জটা কেমন?
মাহমুদউল্লাহ: নতুন বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ।
খেলাটা হোম গ্রাউন্ডে কিন্তু প্রতিপক্ষ দলের কোচ এমন একজন যিনি আপনাদের কথা সবই জানে। এটা আপনাদের জন্য প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে কী না?
মাহমুদউল্লাহ: সত্যি কথা বলতে আমার মনে হয় না ওই ধরনের প্রতিবন্ধকতা হবে বা ওইটা নিয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি এমনও না। কিন্তু আমরা যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের স্কিলগুলো মাঠে প্রয়োগ করতে পারি আশা করছি ফলাফল হয়তোবা আমাদের পক্ষেই থাকবে।
২০১৭ সালটা আপস অ্যান্ড ডাউনসের মধ্য দিয়ে ছিল। অনেক কিছু বদলেছে। ২০১৮ বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক ব্যস্ত বছর। শুরুটা ঘরের মাঠে হওয়াটা কী ইতিবাচক দিক?
মাহমুদউল্লাহ: এটা অবশ্যই। কারণ আপনি যদি আপনার হোম কন্ডিশনে খেলেন এটা একটা বাড়তি সুবিধা। প্রতিটি দলই কন্ডিশন ব্যবহার করতে জানে এবং আপনি যদি বিশ্ব ক্রিকেটের দিকে খেয়াল করেন দেখবেন সবাই তাদের কন্ডিশনে অনেক ভালো দল। একই সাথে আমরাও আমাদের কন্ডিশনে ভালো একটি দল হয়ে উঠছি। আমার মনে হয় এটা কম বেশি সব প্রতিপক্ষই জানে। তো এটা একটি বাড়তি সুবিধা।
১০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। কিন্তু এখনও আপনার ব্যাটিং অর্ডার ওইভাবে নির্ধারিত না। গত এক দুই ছরে ১৩ থেকে ১৪ বার আপনার অর্ডার বদলেছে। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
মাহমুদউল্লাহ: আমি সবসময় বলে এসেছি আমি নিজেকে একজন টিমম্যান হিসেবে মনে করি। টিম যেভাবে আমার কাছে সাপোর্ট চাইবে বা আমার কাছে যেভাবে রেজাল্ট আশা করবে আমি ওভাবেই দিতে চেষ্টা করবো। দলের যেটা প্রয়োজন আমি ওভাবেই দিতে প্রস্তুত থাকবো।
টিম কম্বিনেশনটা কেমন হবে?
মাহমুদউল্লাহ: আমরা সবাই নিজেদের চিনি। সবাই খুব ফ্রেন্ডলি। এবং আমি বলবো সবাই তরুণ বলেন বা যারা সিনিয়র আছি সব মিলে আমাদের গ্রুপটা ভালো। টিম এফোর্টটা কেমন হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
খালেদ মাহমুদ সুজনকে এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটের কোচ হিসেবে নিজেদের মতো করে দেখেছেন। এখন জাতীয় দলে নতুন রূপে দেখছেন। এটা আপনাদের জন্য কী ধরনের পরিস্থিতি?
মাহমুদউল্লাহ: সুজন ভাই অনেক দিন দলের সাথে ছিলেন। আমরা সবাই সুজন ভাই সম্পর্কে জানি এবং আমাদের সাথে তিনি ফ্রেন্ডলি। আমাদের উনি ভালো করে চেনেন, জানেন। তো এটা আমাদের জন্য একটা সুযোগ এবং আমাদের মনে হয় সাপোর্টটা সুজন ভাইকে আমরা ভালো করে দিতে পারবো এবং এটাও জানি সুজন ভাই আমাদের জন্য একই এফোর্ট দেবেন।
সাঙ্গাকারা বলেছে আপনাকে তিনে ব্যাটিং করতে। আপনি কী মনে করেন?
মাহমুদউল্লাহ: এটা আমি জানি না। তবে যদি উনি দিয়ে থাকেন উনাকে ধন্যবাদ। কারণ ওনার মতো এত বড় একজন প্লেয়ারের কাছ থেকে সাজেশন পাওয়াটাও বড় কিছু।
বোলিংয়ে আপনার আরও বেশি অবদান রাখার সুযোগ আছে কী না?
মাহমুদউল্লাহ: আমি যখন যেভাবে সুযোগ পাব ব্যাটিং হোক, বোলিং হোক, ফিল্ডিং হোক সবদিক থেকেই দলকে দেয়ার চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম