বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনের শুরুতেই ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নের উপস্থিতিতে জিমে এক ঘণ্টা ঘাম ঝরানোর পর বোলিং অনুশীলন করেছেন প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পাওয়া টাইগার বোলাররা। বোলিং অনুশীলনের পাশাপাশি নেটে ব্যাটিংয়েও দিয়েছেন লম্বা সময়।
সেটা ভেবেই মূলত অনুশীলন শুরুর আগে বোলারদের ব্যাটিং অনুশীলন করালেন অঘোষিত কোচ ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। একে একে নেটে ব্যাটিং করলেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহেমদ, রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলাম। ছিলেন দুই অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও নবাগত মেহেদী হাসান।
বোলারদের বাইরে এদিন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
অনুশীলন ক্যাম্পে বোলারদের ব্যাটিং অনুশীলনের কারণ ব্যাখ্যা করে সুজন বলেন, ‘যখন স্কিল ট্রেনিং শুরু হয়ে যায় ব্যাটসম্যানরা অনেক সময় নিয়ে ব্যাটিং করে। পেসাররা অত সময় পায় না। সব সংস্করণেই বোলারদের দরকার হয় ব্যাটিং করার। লেজের দিকে গিয়ে ১৫/২০ রান করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। তাই ওদের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছিলাম। ’
অনুশীলনের এক পর্যায়ে মাঝখানের উইকেটে বাকি পেসারদের নিয়ে কাজ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক পেসার গোলাম নওশের প্রিন্স, সাথে ছিলেন সুজনও। ইনসুইং নিয়ে কাজ করেন তারা।
সাইফুদ্দিন, আবু হায়দার রনি, আবু জায়েদ রাহি, আরিফুল হক, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবুল হোসেন রাজুরা বোলিং করেন। নেট থেকে এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেন মোস্তাফিজ, তাসকিন, রুবেল ও শফিউল।
ইনসুইং নিয়ে সাবেক পেসার গোলাম নওশের প্রিন্স বোলারদের পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপামি মোস্তাফিজকে বলেছেন কীভাবে তিনি বল করতেন, ‘ইনসুইংটা কতটা ক্লোজ কীভাবে করতে হবে কিছু টেকনিক আমি বলেছি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সবার জন্যই বোলিংয়ের কিছু সাজেশন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম