ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ছোট লক্ষ্যেও ঝিমিয়ে জিতলো কুমিল্লা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৯
ছোট লক্ষ্যেও ঝিমিয়ে জিতলো কুমিল্লা খেলার একটি দৃশ্য। ছবি- শোয়েব মিথুন

রাজশাহী কিংসের দেওয়া ছোট লক্ষ্যের শুরুটাও দুর্দান্ত করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তামিম ইকবাল ওপেনিংয়ে না নামায় প্রশ্ন উঠলেও দুই ওপেনার তা বেশি সময় মনে রাখতে দেননি।

উদ্বোধনী জুটির দারুন শুরুতেই অনেকটা এগিয়ে যায় কুমিল্লা। আর শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে জয় পায় কুমিল্লা।

১২৫ রানের ছোট লক্ষ্যে দারুন শুরু পায় কুমিল্লার দুই ওপেনার। এনামুল হোক বিজয় ও এভিন লুইসের দারুন বোঝা পড়ায় দ্রুত রান তুলতে থাকে কুমিল্লা। তবে লুইসকে ফিরিয়ে ৬৬ রানের জুটি ভাঙ্গেন কাইস আহমেদ। মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২১ বলে ২৮ রান করে ফেরেন লুইস।  

লুইস ফিরে গেলেও এক প্রান্তে টিকে থাকেন বিজয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতভাবেই আউট হন এই ওপেনার। বোলার উদানা বল করলে স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে কোনোভাবে ঠেকান তামিম। কিন্তু অপর প্রান্তে তখন ক্রিজের বাইরে অবস্থান করছিলেন বিজয়। ফেরানো বল উদানার পায়ে লেগে স্টাম্প ভেঙ্গে গেলে আউট হয়ে যান বিজয়। দুর্ভাগ্যজনক এই আউটের আগে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৩২ বলে ৪০ করেন তিনি।

২৫ বলে ২১ রান করে দলকে অনেকটাই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তারকা ব্যাটসম্যান তামিম। তবে শেষ পর্যন্ত মেহেদি হাসান মিরাজের বলে এভান্সের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নিতে হয় তাকে।

রান আউট হয়ে ফেরেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক। করেন ৮ বলে ২ রান।  

রাজশাহীর হয়ে মেহেদি ও কাইস পান একটি করে উইকেট। এরপর শহীদ আফ্রিদি ও লিয়াম ডসন মিলে ১৮ ওভার ৪ বলে দলকে পৌঁছে দেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। ৮ বল বাকি থাকতে আফ্রিদির ছক্কায় ১৩০ রানে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। শহীদ আফ্রিদি ৯ রান ও লিয়াম ডসন ১২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে শহীদ আফ্রিদি ও লিয়াম ডসনের বোলিং তোপে নির্ধারিত ৭ বল বাকি থাকতেই ১২৪ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী কিংসের ইনিংস।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ১০ম ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২০ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী। ৭ বলে মাত্র ৩ রান করে সাইফউদ্দিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন রাজশাহীর ওপেনার মুমিনুল। পরের বলেই সৌম্যকে (০) বোল্ড করেন সাইফ। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মিরাজ ও পাকিস্তানী অলরাউন্ডার হাফিজ। দুজনে মিলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন।

দলীয় ৫৩ রানে ডসনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন হাফিজ (১৬)। পরের ওভারে বিদায় নেন মিরাজও (৩০)। এবার উইকেট শিকারি আফ্রিদি। অধিনায়ক মিরাজকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন সাবেক পাকিস্তানী অধিনায়ক। দলের রান ওই ৫৩ থাকতেই আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন ইভান্সও (০)।  

স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে মাঝে ২৬ বলে ৩ চারে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন জাকির। দলের অস্টম উইকেট হিসেবে জাকির যখন বিদায় নেন দলের রান তখন ৯৩, মাঝে ফজলে মাহমুদ আর কায়েস আহমেদ ক্রিজে টিকতে ব্যর্থ হয়ে উইকেট বিলিয়ে দলের সর্বনাশ ডেকে আনেন।

শেষদিকে ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে দলকে শতরানের গণ্ডি পার করেন লঙ্কান তারকা উদানা। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ৩২ রান। ৫ চার ও ১ ছক্কা হাঁকানো উদানাকে মেহেদি হাসানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান আবু হায়দার রনি। রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৪ রান।

বল হাতে দারুণ সফল আফ্রিদি। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচ করে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৩ ওভারে ২৫ রান খরচে ২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন ২ উইকেট। ৪ ওভারে ১৭ রান খরচে ২ উইকেট নিয়েছেন ডসন। আর বাকি ২ উইকেট গেছে আবু হায়দার রনির দখলে।

পয়েন্ট টেবিলে দুই দলই সমান পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে। তবে রান রেটে ব্যবধান রয়ে গেছে। আজকের ম্যাচ যে দলই জিতবে সে দলই তৃতীয় স্থানে চলে আসবে।  
কুমিল্লার নতুন অধিনায়ক ও সাবেক অজি দলপতি কনুইয়ের ইনজুরির কারণে সাময়িক বিরতি নিয়ে দেশে ফিরে গেছেন। তার অনুপস্থিতিতে দলের অধিনায়কত্বের ভার পড়েছে ইমরুল কায়েসের কাঁধে। তবে স্মিথের নেতৃত্ব নিশ্চিতভাবেই মিস করবে আগের ম্যাচে মাত্র ৬৩ রানে অলআউট হওয়া কুমিল্লা। তার বদলে দলে সুযোগ পেয়েছেন লিয়াম ডসন।  

অন্যদিকে আগের ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে জয় পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি নিয়েই মাঠে নেমেছে রাজশাহী কিংস।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯

এমকেএম/এমএমইউ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।