ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটার কামিন্স

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটার কামিন্স বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার হাতে হিলি ও কামিন্স-ছবি: সংগৃহীত

স্মিথ-ওয়ার্নার কাণ্ডে অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স নিয়ে ক্রিকেটভক্তদের আগ্রহে হয়তো ভাটা পড়েছে। কিন্তু এমন দুর্দিনেও যাত্রা থেমে থাকেনি অজি ক্রিকেটের। আলোক ঝলমলে দিন হয়তো শেষের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছে, তবু একথা মানতেই হবে যে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি। ঘোর অন্ধকারেও অজি ক্রিকেটের মশাল বয়ে নিচ্ছেন তরুণ তারকা ক্রিকেটাররা। তাদেরই একজন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এই ফাস্ট বোলার।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বর্ষসেরা ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫৬ ভোট পেয়ে এবারের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়ে ‘অ্যালান বোর্ডার মেডেল’ জিতে নিয়েছেন কামিন্স।

বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার পাওয়া নাথান লায়নের চেয়ে ৬ ভোট বেশি পেয়েছেন এই ফাস্ট বোলার।  

বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘বেলিন্ডা ক্লার্ক’ গেছে অ্যালিসা হিলির ঝুলিতে।

ভোটের জন্য বেছে নেওয়া গত ১২ মাসে ২৫.৬১ গড়ে ৪৪ উইকেট দখল করেছেন কামিন্স। তবে সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সেরা পারফর্মার হলেও তা এই পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়নি।

২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তরুণ কামিন্সের। সেবার অভিষেক টেস্টেই ৭ উইকেট নিলেও তাকে পরবর্তী টেস্ট খেলার জন্য ২০১৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়। আর এবার নতুন রূপে হাজির হয়ে টেস্ট বোলারদের র‍্যাংকিংয়ের দুইয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

২০ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৯৪ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন কামিন্স। ব্যাট হাতেও ২০.৩০ গড়ে রান করেছেন তিনি।

গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ক্যাপটাউন টেস্টের পারফরম্যান্সের জন্যই বাড়তি ভোট পেয়েছেন কামিন্স। যদিও ওই ম্যাচটি বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির জন্য কুখ্যাত হয়ে গেছে। ওই ঘটনার জন্য ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়ার পরাজয় ও কামিন্সের পারফরম্যান্স দুটোই আড়ালে চলে যায়।

সেই বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে কেপটাউন টেস্টের পরই ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞার খাড়ায় পড়েন সেসময়ের অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও তরুণ ক্যামেরন ব্যানক্রাফট। এই তিনজনের কেউই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির হননি। অথচ স্মিথ-ওয়ার্নার দুজনেই দু’বার করে বর্ষসেরার এই পুরস্কার জেতার স্বাদ পেয়েছিলেন।

এদিকে বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা হিলির দখলে গেছে বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের পুরস্কারও। তার অধীনেই গত বছর ক্যারিবিয়ানে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করেছিল অস্ট্রেলিয়া।

এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন মার্কাস স্টয়নিস (১৩ ম্যাচে ৩৭৬ রান ও ১৩ উইকেট), টেস্ট খেলোয়াড় নাথান লায়ন (১০ ম্যাচে ৪৯ উইকেট) আর টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় হয়েছেন গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল (১৯ ম্যাচে ৫০৬ রান ও ৯ উইকেট)।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।