দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩২৭ রানের স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৭ উইকেটে ৩০৭ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
৩২৮ রানে টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই আগের ম্যাচে অভিষেক সেঞ্চুরি পাওয়া আবিদ আলীর উইকেট হারায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে শান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে ১০৮ রানে জুটি গড়েন হারিস সোহাইল। শান মানুদ ৫০ রান করে দলীয় ১০৯ রানে বিদায় নেন। আগের ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ রিজওয়ান ১২ রান করে দ্রুত বিদায় নেন।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলকে জয়ের পথেই রাখেন হারিস সোহাইল ও উমর আকমল। সোহাইল ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১০২ রান আসে সোহাইল ও উমর আকমলের ব্যাট থেকে। ৪৩ রান করে দলীয় ২৩৮ রানে আউট হন উমর আকমল। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে হারিস সোহাইল ১৩০ রান করে আউট হন।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ম্যাচ থেকে আসতে আসতে ছিটকে যায় পাকিস্তান। অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম অপরাজিত ৩৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেললেও দলে পরাজয় এড়াতে পারেনি। ৭ উইকেটে ৩০৭ রানে থেমে যায় পাকিস্তানর ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার বেহরেনড্রফ তিনটি এবং রিচার্ডসন, লিওন, ম্যাক্সওয়েল ও জাম্পা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার উসমান খাজা ও অ্যারোন ফিঞ্চ। ১৩৪ রান আসে উদ্বোধনী জুটি থেকে। ফিঞ্চ ৫৩ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় উইকেটেও বড় রানের জুটি পায় অজিরা। ৮০ রান আসে খাজা ও শন মার্শের ব্যাট থেকে। ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন খাজা। ৯৮ রান করে দলীয় ২১৪ রানে আউট হন তিনি।
তৃতীয় উইকেটেও পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন অস্ট্রেলিয়া। ৬০ রান আসে শন মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট থেকে। মার্শ ৬১ রান করে দলীয় ২৭৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। এরপর এক প্রান্ত আগলে রাখা ম্যাক্সওয়েল ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যানই রানের দেখা পাননি। ম্যাক্সওয়েল ৩৩ বলে ৭০ করে আউট হলে ৭ উইকেটে ৩২৭ রানের বড় পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের উসমান সেনওয়ারি চারটি ও জুনায়েদ খান তিনটি উইকেট নেন।
অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ম্যাচ সেরা ও অ্যারোন ফিঞ্চ সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
আরএআর/এনটি