চিপুকে এম চিদম্বরাম স্টেডিয়ামে ১৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনার ক্রিস গেইলকে দ্রুতই হারায় পাঞ্জাব। হারভজন সিংয়ের বলে আউট হওয়ার আগে ৫ রান করেন ক্যারিবীয় দানব।
তবে এরপর সরফরাজ খানের সঙ্গে ১১০ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ওপেনার লোকেশ রাহুল। কিন্তু কিছুটা ধীর গতির ব্যাট করা রাহুল স্কট কুগেলেইজেনের বলে আউট হন। ৪৭ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৫ করেন তিনি।
ডেভিড মিলার এসে দ্রুতই ফিরে যান। দীপক চাহারের বলে বোল্ড হন তিনি। সরফরাজ শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। তিনি ৫৮ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
চেন্নাই বোলারদের মধ্যে হারভজন ২টি এবং চাহার ও কুগেলেইজেন একটি করে উইকেট পান।
টসে জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইকে ভালো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার শেন ওয়াটসন ও ফাফ ডু প্লেসিস। দু’জনে মিলে ৭.২ ওভারে ৫৬ রান তোলেন। তবে ২৪ বলে ২৬ করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হন ওয়াটসন।
ডু প্লেসিস অবশ্য ফিফটি তুলে নেন। ৩৮ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৪ করে সেই অশ্বিনের বলেই ডেভিড মিলারকে ক্যাচ দেন তিনি। তবে ২০ বলে ১৭ রান করা সুরেশ রায়না অশ্বিনের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে আম্বাতি রায়ডুকে সঙ্গে নিয়ে ৬০ রানের জুটি পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি। দলনেতা ২৩ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। আর ১৫ বলে ২১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন রায়ডু।
পাঞ্জাব বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান অশ্বিন।
এ ম্যাচ শেষে ৫ ম্যাচে চার জয় ও একটি চারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে হটিয়ে ফের শীর্ষে উঠে এলো চেন্নাই। তবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে রাতের ম্যাচে হায়দ্রাবাদ জয় পেলে আবার শীর্ষে উঠে আসবে ওয়ার্নার-সাকিবরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ০৬ এপ্রিল, ২০১৯
এমএমএস