নিউজিল্যান্ডে জন্ম হলেও মাত্র ১২ বছর বয়সেই পরিবারের সঙ্গে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান বেন স্টোকস। তার বাবা জেরার্ড স্টোকস নিউজিল্যান্ড রাগবি দলের সদস্য ছিলেন।
খেলোয়াড়ী জীবনের পুরোটাই কাটিয়েছেন ইংল্যান্ডে। নিয়েছেন ইংল্যান্ডের নাগরিকত্বও। অন্য দেশের হয়ে শুধু খেলেছেন বললে ভুলই হবে, ২০১৯ বিশ্বকাপে তার ব্যাটে ভর করেই জন্মস্থান নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে ইংল্যান্ড।
সেই স্টোকসকেই সেরা নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে নিউজিল্যান্ডবাসী। তার সঙ্গে আছেন নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও।
ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ জেতানোর পরেও বর্ষসেরা নিউজিল্যান্ডার হিসেবে স্টোকসকে মনোনয়ন দেয়া প্রসঙ্গে পুরস্কারটির প্রধান বিচারক ক্যামেরন ব্যানেট বলেন, ‘স্টোকস হয়তো নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলেনি। তবে তার জন্ম ক্রাইস্টচার্চে এবং তার বাবা এখনও সেখানে বসবাস করে। হয়তো আরও অনেককেই এখানে নেয়া যেত মনোনয়নে। তবে আমরা মনে করি স্টোকস এ মনোনয়নের যোগ্য। ’
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের প্রশংসা করে ব্যানেট বলেন, ‘একজন নিউজিল্যান্ডার হিসেবে আমরা যেসব গুণ চাই, তার সবটাই আছে উইলিয়ামসনের মধ্যে। সাহস ও সততা। মানবিকতায় ভরপুর এক ব্যক্তিত্ব সে। ’
শোনা যাচ্ছে, স্টোকস ও উইলিয়ামসন দু’জনেই যুক্তরাজ্যের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘নাইটহুড’ পেতে পারেন। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে থাকা দুই শীর্ষ নেতা।
ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ‘জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও দেশবাসীকে গর্বিত’ করা ব্যক্তিরাই নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার পুরস্কারে ভূষিত হন। মনোনয়ন সবার জন্যই উন্মুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এমকেএম