সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। আর এসব দাবি না মানা হলে এখন থেকে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো কার্যক্রমে অংশ নেবেন না তারা।
ফিকা’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফিকা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান টনি আইরিশ বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটারদের হিসেবে অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে একজোট হওয়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রশংসা করছে ফিকা। বাংলাদেশে খেলোয়াড়দের জন্য চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সত্ত্বেও এটা সম্ভব হয়েছে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের খেলোয়াড়দের যেভাবে দেখা হয় তা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেছে। ’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটাও এখন পরিষ্কার যে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা তাদের ক্যারিয়ার এবং জীবিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে স্বস্তি বোধ করেন না। তাদের এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় না বলেই মনে করেন তারা। খেলোয়াড়দের সংগঠনের দায়িত্ব হলো তাদের সমষ্ঠিগত সমস্যার কথা তুলে ধরা। এবং চিন্তার বিষয় এই যে, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) খেলোয়াড়দের প্রয়োজনের মুহূর্তে তাদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করতে পারছে না। আরও বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, কোয়াবের পদধারীরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পদেও আছেন। ’
‘ইস্যুগুলো পর্যালোচনা করার পর আমরা মনে করছি, এই সময়ে খেলোয়াড়দের সমর্থন ও সহায়তা করা ফিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ’
কোয়াব ও ফিকা’র সদস্যপদ
চলতি মাসের শুরুর দিকে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ফিকা’র বার্ষিক মিটিংয়ে সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে ফিকা’র সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন সংশোধন করা হয়েছে। পরিবর্তিত কাঠামো অনুযায়ী, সদস্য অ্যাসোসিয়েশনগুলোতে বর্তমানে খেলে যাচ্ছেন এমন ক্রিকেটারদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা এবং বোর্ড থেকে পুরোপুরি স্বাধীন একটি সংগঠন গড়ার প্রতি নজর দেওয়া হবে। এসব পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে কোয়াবের সদস্যপদ পর্যালোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এমএইচএম