ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘পরামর্শদাতা’ সেই হোটেলকর্মীকে খুঁজে পেয়েছেন টেন্ডুলকার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
‘পরামর্শদাতা’ সেই হোটেলকর্মীকে খুঁজে পেয়েছেন টেন্ডুলকার ছবি: সংগৃহীত

ভারতের তথা বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটিংয়ে উন্নতি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন এক হোটেল ‘ওয়েটার’। যাকে খুঁজছিলেন শচীন। ভারতীয় এই ব্যাটিং ঈশ্বর টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে সেই ওয়েটারকে খুঁজে পেতে নেটিজেনদের সাহায্য চেয়েছিলেন।

সেই ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া গেছে। গুরুপ্রসাদ নামের সেই হোটেলকর্মী নিজেই সাড়া দিয়েছেন।

তামিলনাড়ুর News18 সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তিনি আসলে ওয়েটার ছিলেন না, ছিলেন হোটেলের নিরাপত্তা কর্মী। পছন্দের ক্রিকেটার শচীনের অটোগ্রাফ নিতে গিয়েই তিনি ওই পরামর্শ দিয়েছিলেন।

গুরুপ্রসাদকে খুঁজে পেতে টুইটারের ক্যাপশনে শচীন লিখেছিলেন, ‘তার মুখোমুখি হওয়াটা স্মরণীয় হবে। চেন্নাইয়ে টেস্ট সিরিজ চলাকালীন হোটেল তাজ কোরোম্যান্ডেলের এক স্টাফের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। তার সঙ্গে আমার এলবো গার্ড নিয়ে আলোচনা হয়, পরবর্তীতে আমি সেটা রি-ডিজাইন করি। আমি বিস্মিত হয়েছিলাম, এখন সে কোথায়? আশাকরি তার দেখা পাব। ওহে নেটিজেনরা, তাকে খুঁজে পেতে তোমরা কি আমাকে সাহায্য করবে?’

ভিডিওতে শচীন জানান, ‘সে বলেছিল সে নাকি আমার বিশাল ভক্ত। সে আমার খেলা প্রতিটি বল ৫-৭ বার করে রিপ্লে দেখে। কথা বলার জন্য আমার অনুমতি চাওয়ায় আমি বললাম, হ্যাঁ, বলো! তখন সে আমাকে এলবো গার্ড পরিবর্তনের কথাটি বলেছিল। আমি বলেছিলাম, তুমি একমাত্র ব্যক্তি যে আমার এই সমস্যা ধরতে পেরেছ। আপনারা বিশ্বাস করতে পারবেন না, আমি সত্যিই আমার রুমে ফিরে এলবো গার্ডটি নিয়ে গিয়ে রি-ডিজাইন করি। সঠিক মাপের, যেখানে স্ট্রাপগুলো ঠিকমতো হয়েছিল। ’

৪৬ বছর বয়সী গুরুপ্রসাদ শচীনের ব্যাপারটি বিশ্বাসই করতে পারছেন না। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘এতো আগের ঘটনাটি যে শচীন এখনও মনে রেখেছেন তাতে আমি ভীষণ অবাক। তিনি আমাকে ইউনিফর্ম পরা দেখে ওয়েটার ভেবে ভুল করেছিলেন। সে সময় ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট খেলতে শচীন চেন্নাইয়ে এসেছিলেন। তার একজন ক্রিকেট ভক্ত হিসেবে অটোগ্রাফ নেওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি। সে সময়ই আমাদের কথা হয়। হয়তো এক মিনিটেরও কম সময় কথা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও যে তিনি আমার কথা মনে রাখবেন সেটা মোটেও কল্পনা আমি তার সঙ্গে দেখা করতে মুখিয়ে আছি। ’

গুরুপ্রসাদ আরও জানান, ‘যদিও শচীনকে কিংবা তার পরিবারকে দেওয়ার মতো আমার কিছু নেই। আমি তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। তবে তিনি চাইলে আমি কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে পারি, যারা আমার মতোই ক্রিকেট পাগল। ’

শচীন এর আগেও ২০১৭ সালে তার ক্রীড়া সামগ্রী বিক্রির প্রতিষ্ঠান ‘শচীন বাই স্পার্টান’ এর উদ্বোধনকালে এই ঘটনাটি বলেছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি যদি মুক্তমনা হও তবে তুমি অনেক উন্নতি করতে পারবে। চেন্নাইয়ে একবার এক ওয়েটার এসে আমাকে বললো আপনি যদি কিছু মনে না করেন ও ক্ষুব্ধ না হন তবে আমি কিছু বলতে চাই। আমি বললাম, বলো। সে বললো আমার এলবো গার্ড আমার ব্যাটের সুইংকে আটকে দেয় এবং সে শতভাগ সঠিক ছিল। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
এমএমএস/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।