এর আগে সাবেক পাকিস্তানি স্পিডস্টার শোয়েব দাবি করেন, তার সতীর্থ কানেরিয়ার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করতো কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেটার। হিন্দু হওয়ায় তার সঙ্গে বসে খেতেও অনিচ্ছুক ছিল তারা।

ক্রিকেট বিশ্লেষক ডা. নুমান রিয়াজের পাকিস্তানি টিভি শো ‘গেম অন হেই’ নামক এক অনুষ্ঠানে অতীত এই স্মৃতি উগরে দেন শোয়েব। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘হিন্দু হওযায় দানিশ কানেরিয়ার সঙ্গে অন্যায্য আচরণ করত’ পাকিস্তান ক্রিকেট দল।

তিনি আরো বলেন, ‘ধর্মীয় অজুহাতে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হতো, এবং প্রায় সহ-খেলোয়াড়রা তার সঙ্গে খেতে অস্বীকার করতো। ’

শোয়েবের এমন সাহসী বক্তব্যের পর মুখ খুলেছেন কানেরিয়াও। ৩৯ বছর বয়সী স্পিনার রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের বক্তব্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সে (শোয়েব) সত্য বলেছে। হিন্দু হওয়ায় যারা আমার সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করতো না আমি তাদের নাম প্রকাশ করবো। ’

ভারতীয় নিউজ এজেন্সি এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) কানেরিয়া আরও বলেন, ‘এসব প্রকাশ করার সাহস আমার আগে ছিল না। তবে এখন আমি বলব। ’ 

পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন কানেরিয়া। অনিল দালপাতের পরে দ্বিতীয় হিন্দু এবং সপ্তম নন-মুসলিম ক্রিকেটার হিসেবে পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন করাচির সিন্ধে জন্ম নেওয়া সাবেক এই স্পিনার।

টেস্টে ২৬১ এবং ওয়ানডেতে ১৫ উইকেটের মালিক কানেরিয়া জানান, তার আগে এসব বিষয়ে মুখ খোলার সাহস ছিল না তবে শোয়েব আখতার এক বিবৃতি দেওয়ায় এখন তিনি তার সঙ্গে সেই সময়ে ঘটে যাওয়া ক্রিকেটীয় দিনগুলো প্রকাশ্যে আনবেন।  

কানেরিয়া বলেন, ‘আমি হিন্দু ছিলাম বিধায় যে সব ক্রিকেটার আমার সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করতো না, শিগগিরই আমি তাদের নাম প্রকাশ করবো। বিষয়টি নিয়ে আমার কথা বলার সাহস ছিল না, তবে শোয়েব আখতারের বিবৃতি শোনার পর এখন আমি সাহস পেয়েছি ইস্যুটি নিয়ে কথা বলার। ’ 

কানেরিয়া জানান, অন্যান্য সতীর্থরা তার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করলেও ইউনিস খান, ইনজামাম-উল-হক, মোহাম্মদ ইউসুফ এবং শোয়েব আখতারের মতো খেলোয়াড়রা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তার সঙ্গে ভালো আচরণ করতেন। বিশেষ করে ইমজামাম তার প্রতি সবসময় আস্থা রাখতেন বলেও জানান কানেরিয়া।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
ইউবি