সেঞ্চুরিয়নে রানের পাহাড় গড়েছিল বাংলাদেশ। অথচ দ্বিতীয় ম্যাচে ভেন্যু বদলে যেতেই ব্যাটিং দুর্দশার মুখ দেখতে হলো।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ওয়ান্ডার্সের উইকেটে খাবি খেয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। যদিও পিচের কন্ডিশন আগের ম্যাচের চেয়ে আলাদা ছিল। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়নে রানের বন্যা দেখা গিয়েছিল তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলীর ব্যাটে। কিন্তু আজকের ম্যাচে তাদের সবাই ব্যাট হাতে ব্যর্থ। তাদের আউট হওয়ার ধরনও প্রায় এক। সবাই বাড়তি বাউন্সে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।
টাইগার ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিলে একমাত্র ব্যতিক্রম আফিফ হোসেন ধ্রুব। দলের ১৯৪ রানের সংগ্রহের মধ্যে তার ব্যাট থেকেই এসেছে ৭২ রান। এছাড়া বলার মতো রান এসেছে কেবল মেহেদি হাসান মিরাজ (৩৮) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের (২৫) ব্যাট থেকে। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে এবং প্রায় সবাই অসমান বাউন্সের শিকার। ম্যাচ শেষে অবধারিতভাবে তাই উইকেট ইস্যু উঠে এলো। যদিও একই পিচে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা অনায়াসেই রান তুলেছেন।
উইকেটের দায় যেমন আছে, টস জিতে এমন পিচে ব্যাটিং বেছে নেওয়াতেও অনেকে অবাক হয়েছেন। ম্যাচ শেষে তাই তামিম বলেন, 'যেমন উইকেট আশা করেছিলাম তা পাইনি। পেস আর বাউন্সে কোনো অসুবিধা নেই, কিন্তু অসমান পিচ হলে অসুবিধা হবেই। টস জেতা কিংবা আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া নিয়ে অনেক কথা বলতে পারি, কিন্তু আমি মনে করি ম্যাচের ভাগ্য আমরা নির্ধারণ করতে পারি না। আমরা ভুল করেছি এবং তারা (দ. আফ্রিকা) ভালো বোলিং করেছে। মাঝের ওভারগুলোতে আমরা আরও রান তুলতে পারলে ওদের চাপে রাখতে পারতাম। একসময় তো ১০০ রানও কঠিন মনে হচ্ছিল, সেখানে আমরা ১৯৪ রান করেছি। দিনশেষে, আমরা অনেক কিছুকেই দায়ী করতে পারি, কিন্তু আমরা খারাপ খেলেছি। '
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
এমএইচএম