ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘বড় ভাইরা না থাকলে ওপরে সুযোগ পাবো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
‘বড় ভাইরা না থাকলে ওপরে সুযোগ পাবো’ ছবি: শোয়েব মিথুন

চলতি বছর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৯ ইনিংসে লিটন দাসের রান ৯১৫। চলতি বছরে তার চেয়ে বেশি রান নেই আর কোনো ব্যাটারের।

ফরম্যাটটা টেস্ট হলে লিটন আরও বেশি ধারাবাহিক। ৬ ইনিংসে ৫০৬ রান করেছেন, গড় ৫৬.২২। বর্তমানে দেশের সেরা ব্যাটার হিসেবে অনেকেই স্বীকৃতি দেন লিটনকে।

যে কোনো দেশের সেরা ব্যাটারই খেলেন ওপরের দিকে। তিনি যেন বল বেশি পান, হাতে সময় থাকে, শেষদিকের ব্যাটারদের নিয়ে খেলার মানসিক চাপ না থাকে, উইকেট পড়ার পর লড়াই করতে গিয়ে পিছিয়ে যেতে না হয়। কিন্তু বাংলাদেশে হয় তার উল্টোটা। এমন ধারাবাহিক লিটনকেও নামতে হয় সাত নম্বরে।

এই বছর অন্তত ৫ ইনিংস খেলেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে লিটনের চেয়ে বেশি গড় কেবল অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাজার। সাতে নেমে এমন অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা লিটন কেন ওপরে সুযোগ পাবেন না? প্রশ্নটা ম্যানেজম্যান্টকে করলে নিশ্চয়ই তাদের ভাবনা জানাতে পারবেন।

আজকের আগে মোট ৫৫ ইনিংসে মাঠে নেমেছেন লিটন। এর মধ্যে উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে খেলেছেন ১০টিতে, যেখানে তার রান ১৫৩। একটি ইনিংসেই নেমেছিলেন তিন নম্বরে, করেছেন ৩৩ রান। ৬ ইনিংস ৫ নম্বরে খেলে ১ সেঞ্চুরি আর ১ ফিফটিতে ২৪১ রান করেছেন।

ছয় নম্বর পজিশনে লিটন খেলেছেন সব মিলিয়ে ১৫ ইনিংস। ১ সেঞ্চুরি আর ৫ ফিফটিতে এই পজিশনে লিটনের রান ৬১৫। ক্যারিয়ারে লিটন সবচেয়ে বেশি ২১ ইনিংস খেলেছেন সাতে, এই পজিশনে চলতি ম্যাচেই পেয়েছেন প্রথম সেঞ্চুরি।  

লিটনের তিন সেঞ্চুরি এসেছে আলাদা তিন পজিশনে। পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বরে; কিন্তু পরিণত ব্যাটার হয়ে ওঠার পর আর ওপরের দিকে খেলেননি লিটন। কেমন করবেন, তাও জানার উপায় নেই।

কিন্তু লিটন? তিনি নিজে কি মনে করেন? এ বছর সবচেয়ে বেশি রান আপনার, আরেকটু ওপরে খেললে...প্রশ্নটা শেষ না করতেই ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে লিটনের উল্টো প্রশ্ন, ‘আমি যে এ বছর রান করলাম। কোথায় নেমে করছি?’

তিনি পাঁচের পর নেমে রান করেছেন, সেটা তো সবাই জানে। কিন্তু রান করতে পারাই তো শেষ কথা না। টেস্টে রান করার সুযোগ অন্তহীন। এটা পেতে হলে আরেকটু ওপরে খেলা দরকার। আপনি কি সেটা মনে করেন না? লিটন জবাবে এবার বললেন, ‘আস্তে আস্তে আসতেছি তো, সুযোগ আসবে। যখন বড় ভাইরা কেউ না কেউ খেলবেন না, তখন আমাকে সুযোগ দেওয়া হবে। এখন আমি সুযোগ দেখছি না ওপরে আসার মতো। ’

ওপরে অনেক অফ ফর্মে থাকা ব্যাটাররা খেলছেন। তাদের অনেককে দেখেই দলের জন্য বোঝা মনে হচ্ছে। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। লিটন নিজে কি ওখানে খেলতে চান না? তার জবাব, ‘ভালো আছি, যেখানেই আছি। ’

লিটন এক-দুই বাক্যের উত্তর আর পাল্টা প্রশ্ন করে কী বোঝাতে চাইলেন সেটা অস্পষ্ট, তবে তার কাছে দলের প্রত্যাশাটা আরও বড়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বসেরাদের কাতারে যাবেন তিনি, এমন স্বপ্ন অনেকের। লিটনকে এটা পূরণ করতে হলে একটু ওপরের দিকে খেলা দরকার, ব্যাপারটাও স্পষ্ট।

তাকে নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছে। এখন ব্যাট হাতে এমন ফর্মে আছেন, নিশ্চয়ই ভালো লাগছে? লিটন বললেন, ‘চেষ্টা তো সবসময় করি। কিন্তু কিছু সময় ব্যর্থ হই, কিছু সময় সফল হই। এটাই ক্রিকেট, এভাবেই চলতে থাকবে। আজকে ভালো করতেছি, কালকে আবার খারাপ হলে হতেও পারে। এটা মেনেই জীবন। এভাবেই চলতে থাকবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।