সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার পর তিন ফরম্যাটের একটির ভার আসে তামিম ইকবালের কাঁধে। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে বেশ ভালোও করছেন তামিম ইকবাল।
সম্প্রতি মুমিনুল হক টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর এই ফরম্যাটে অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় নেতৃত্ব পেলেন এই অলরাউন্ডার। সাকিবের ক্রিকেট মস্তিস্কের প্রশংসা করে তামিম বলেছেন, টেস্ট অধিনায়কত্ব ব্যাপারটা সহজ না।
একটি টেলিকম কোম্পানির অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তামিম বলেছেন, ‘আমি ওর অধিনায়কত্বের দুবার খেলেছি, কারণ ও দুবার হয়েছে। ২০১১ এবং মাঝখানে লাস্ট টাইম যখন ছিল। এটা রকেট সায়েন্স না, আমরা সবাই জানি তার খুব ভালো ক্রিকেটীয় জ্ঞান আছে। ’
‘আমি নিশ্চিত টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করা সহজ না। এই একটা সংস্করণে আমাদের ফলটা খুব বেশি আমাদের পক্ষে আসে না। আমি যখন অধিনায়ক হয়েছি আমি বলেছি যে আমাকে অনেক সময় দিতে হবে, আমার মনে হয় একই ব্যাপার সাকিবের জন্য। তারও লম্বা সময় দরকার। এটা এমন একটি সংস্করণ যেখানে আমরা খুব শক্তিশালীও না, তার নেতৃত্ব দারুণ এবং তার পরিকল্পনা বা সব কিছুই...আমাদের সবার সহযোগিতা ইনশাল্লাহ থাকলে মেবি ২/৩ বছরের দারুণ একটি টেস্ট দল হবে। ’
টেস্ট অধিনায়ক সাকিবকে করা হলেও তার খেলা নিয়ে প্রায়ই সংশয় দেখা দেয়। অধিনায়কত্ব ঘোষণা করার সময়ই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, সাকিব অনিশ্চিত জিম্বাবুয়ে সফরে। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম বলছেন, নেতৃত্বের ব্যাপারটা পুরোপুরি বোর্ডের হাতে।
তিনি বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়েতে টেস্ট নাই। এবার জিম্বাবুয়ে সফরে যতটুক জানি ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি আছে। টেস্ট তো ওখানে হচ্ছে না। আর আমি এটা নিয়ে ভাবছি না যে কে যাচ্ছে কে যাচ্ছে না, সত্যি কথা বলতেছে। অধিনায়কত্বের যে জিনিসটা আপনি বললেন এই একটা জিনিস এটা সম্পূর্ণ বোর্ডের হাতে, কাকে দিবে কাকে তারা মনে করে যে সঠিক, কতদিন থাকবে কতদিন থাকবে না এটা ওনারা সিদ্ধান্ত নেয়। তো এটাতে আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না, আমার বলেন বা অন্য যে দুই অধিনায়ক আছেন তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৫২২, জুন ৫, ২০২২
এমএইচবি