এই সেশনটি কেবল বাংলাদেশেরই-এমন বললে একটুও ভুল বলা হবে না। ম্যাচের অষ্টম সেশনে এসে একটি উইকেটও পড়েনি।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে লিড নেওয়া বাংলাদেশ চা বিরতি অবধি ৪৮ রানে এগিয়ে আছে। ৬ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ২১৫ রান। দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়েও বাংলাদেশ করেছে ৯৫ রান।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নামে বাংলাদেশ। দ্রুতই হারিয়ে ফেলে ওপেনার তামিম ইকবাল ও তিন নম্বরে খেলতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট।
৫০ রানে ২ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেন নাজমুল হাসান শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়। ১১২ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নামা বাংলাদেশের ব্যাটারদের দরকার ছিল ধৈর্য ও স্থিরতা।
কিন্তু নাজমুল হাসান শান্ত করেন তার উল্টোটা। আক্রমণাত্মক খেলে দুটি বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি। কিন্তু কাইল মেয়ার্সের কাছে শেষ অবধি পরাস্ত হতে হয়েছে তাকে।
টানা পাঁচ বল আউট সুইং করে শেষ বলটি ভেতরে ঢুকান মেয়ার্স। ওই বলে শট খেলতে গিয়ে উইকটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। ৪৫ বলে ১৭ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
এরপর ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মুমিনুল হকও। মেয়ার্সের গুড লেন্থের বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি মুমিনুল, বল লাগে তার প্যাডে। আম্পায়ারের এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত রিভিউ নিয়েও বদলাতে পারেননি মুমিনুল।
৫ নম্বরে খেলতে নামা লিটন কুমার দাস বেশ আত্মবিশ্বাসী শুরুই করেছিলেন। হাঁকিয়েছিলেন তিনটি বাউন্ডারিও। কিন্তু ১৫ বলে ১৭ রান করে তিনিও স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কেমার রোচের বলে।
মধ্যাহ্নভোজের আগে বাংলাদেশের হতাশাটা আরও বাড়ান মাহমুদুল হাসান জয়। উইকেটের অন্য প্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়া থাকলেও জয় ছিলেন বেশ স্থির। কিন্তু তিনিও শেষ অবধি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েই আউট হন। এর আগে ১৫৩ বলে ৪২ রান করেন তিনি। এরপরই দলের হাল ধরেছেন সাকিব ও সোহান।
আক্রমণাত্মক অথচ নিয়ন্ত্রিত সব শটে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন সাকিব। সোহান মাঝেমধ্যে গড়বড় করলেও এখনও ঠিকঠাকই সঙ্গ দিচ্ছেন সাকিবকে। ১০৭ বলে ৪৯ রান করে সোহান ও ৮৮ বলে ৫৩ রান করে সাকিব অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১২৫৫, জুন ১৯, ২০২২
এমএইচবি