ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

হাসানের পর শিকার ধরলেন মিরাজ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
হাসানের পর শিকার ধরলেন মিরাজ

লক্ষ্য তাড়ায় নামা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শুরুতে জোড়া আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। নিজের প্রথম দুই ওভারেই দুই উইকেট নেন বাংলাদেশি ডানহাতি পেসার।

এরপর জিম্বাবুয়ের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান মেহেদি হাসান মিরাজ।

চারে নামা ওয়েসলে মাধেভেরেকে (২) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন টাইগার স্পিনার। যদিও আগের বলেই লেগ বিফোরের আবেদন ফিরিয়ে দেন আম্পায়ার। তবে পরের বলে ঠিকই আউটের সিদ্ধান্ত আসে।  দলীয় ২৭ রানে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২৮ রান।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়েছে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই অভিষিক্ত তাকুদওয়ানাশে কাইতানোকে (০) ফেরান হাসান মাহমুদ। ডানহাতি পেসারের লাফিয়ে ওঠা বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে জমা হয়। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ তখন কেবল ১ রান।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফের আঘাত হানেন হাসান। এবার প্রায় একই কায়দায় তার বলে মুশফিকের হাতে হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনে নামা জিম্বাবুইয়ান ব্যাটার ইনোসেন্ট কাইয়া (৭)। আগের ম্যাচে কাইয়া ১১০ রানের দারুণ ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিলেন।

রোববার হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের সামনে ২৯১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সামনে এই লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা।

বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ছিল দারুণ। অফসাইডে ছয় ফিল্ডার রেখে তামিম ইকবালকে ক্রমাগত করা হচ্ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে বল। এর মধ্যেই ফাঁকা জায়গা বের করে বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন তামিম। যদিও তাকে থামতে হয় ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ বলে ৫০ রান করে। চিভাঙ্গার বলে তুলে মারতে গিয়ে তামিম ক্যাচ দেন কাইতানোর হাতে।

এরপর অনেকটা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে আউট হতে হয় এনামুল হক বিজয়কে। চিভাঙ্গার বলে স্ট্রেট ড্রাইভ খেলেন শান্ত। বিজয় তখন ছিলেন নন স্ট্রাইকে। চিভাঙ্গার হাত ছুঁয়ে বল স্টাম্পে লাগলে ২৫ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় বিজয়কে।

মাঝে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিমও। ১ চারে ৩১ বলে ২৫ রান করেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত ক্রিজে ছিলেন অনেক্ষণ। মনে হচ্ছিল চার বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাবেন তিনি।

 কিন্তু তার ধীরগতির ৫৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস থামে মাদাভিরার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিলে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও খেলছিলেন অনেকটা একই রকম ইনিংস। যদিও শেষদিকে কিছু বাউন্ডারে হাঁকিয়ে রানের সঙ্গে বলের পার্থক্য কমিয়েছেন তিনি। তবুও বাউন্ডারি হাঁকাতে তার ভোগান্তি, রান নিতে কষ্ট ফুটে উঠেছে স্পষ্ট।

শেষ অবধি এই ব্যাটার ৩ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৮৪ বলে ৮০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের রানের জন্য ধন্যবাদ পেতে পারেন আফিফ হোসেন। ৪১ বলে ৪১ রান করে তিনি অবশ্য আউট হয়েছেন হতাশাজনকভাবে। সিকান্দার রাজার বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন শর্ট থার্ডম্যানে দাঁড়ানো চিভাঙ্গার হাতে।

বাংলাদেশ সময়:  ১৮১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।