ভোর হয়ে কুল নেই, অঝোরে পড়ছে জল। কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, কখনো টুপটুপ।
বৃষ্টির বাধাতেই সোমবার চলেছে ব্যাটে-বলের লড়াই। কিন্তু মঙ্গলবার কাভারই সরল না। শ্রীধরন শ্রীরাম থিউর্যাটিকাল ক্লাস নিলেন দেয়ালে বন্দি রুমে। ফাঁকে ফাঁকে ব্যাট-বলের প্রস্তুতিও টুকটাক হয়েছে, তবে পুরোটাই ইনডোরে।
তখনও এগারোটা বাজেনি ঘড়ির কাটায়। ছাতা মাথায় ইনডোর থেকে ড্রেসিং রুমের দিকে আসতে দেখা গেল প্যাড পরা দুই ক্রিকেটারকে। ব্যাটার হবে এমন ভাবনা নিয়েই তাকিয়েছিল কৌতূহলী চোখ। পরে দেখা গেল তারা দুজন মোস্তাফিজুর রহমান আর শরিফুল ইসলাম। বোঝা গেল, চিন্তাটা কেবল টপ অর্ডার নিয়েই না!
শুরুর ব্যাটিংয়ের দুশ্চিন্তা তো পুরোনোই। সম্ভাব্য ওষুধ হিসেবে সৌম্য সরকারের নাম শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ টাইগার্স, ‘এ’ দল ঘুরে এই ক্রিকেটার এখন জাতীয় দলের অনুশীলনে। আলাদা করে তার সঙ্গে কাজ করেছেন নতুন বস শ্রীরাম।
ইনডোর থেকে ড্রেসিং রুমে আসার পুরো পথটাতেই সৌম্য-শ্রীরাম আর আফিফ হোসেনকে দেখা গেল সিরিয়াস আলাপে। গুরুর কাছে ঠিক টোটকাটা বুঝতে আফিফ-সৌম্যকেও ভীষণ মনোযোগী শিষ্যই মনে হলো।
এদের বাইরে বাকি প্রায় সবাই-ই জিমে সময় কাটিয়েছেন বেশি। উদ্বোধনী ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন তাদের একজন। এশিয়া কাপে দলের সঙ্গে ঘুরে এসেছেন। বিশ্বকাপ দলে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তবুও কাটেনি তার। মুখ তাই আকাশের মতোই ঘোমড়া থাকল ইমনের!
তার সঙ্গী নাঈম শেখ অবশ্য ভীষণ সিরিয়াস। জিমে যাওয়ার পথে তার ছবি তোলার জন্য ডাক দিলেন এক আলোকচিত্রী, নাঈমকে তাতে খুব একটা আগ্রহী দেখা গেল না। ক্রিকেটটাই সম্ভবত তার কাছে এখন সবচেয়ে জরুরি। দল থেকে বাদ পড়েও এশিয়া কাপ দিয়ে আবার প্রত্যাবর্তন হয়েছে নাঈমের।
হাসান মাহমুদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস সময় কাটিয়েছেন জিমে। তাদের সঙ্গে দলে ঢোকার দৌড়ে থাকা আরেক ক্রিকেটার ইয়াসির আলি রাব্বির গন্তব্য অবশ্য ছিল রিকশা। অলস সময় কাটাতেই কি না কে জানে। তিনি থেমেছেন স্টেডিয়ামের গেট অবধি গিয়ে।
মঙ্গলবার অনুশীলনের মূল কাজ ছিল ম্যাচ সিনারিওতে প্র্যাক্টিস। কিন্তু এর জন্য কাভারটা তো তুলতে হতো। সেই চেষ্টা এক দুবার হয়েও ছিল। কিন্তু কখনোই পুরো কাভার সরিয়ে দেওয়া যায়নি। ঢেকে থাকা দেশের ক্রিকেট কীভাবে আলোতে ফিরবে, ওই উত্তরটাও দেখা হলো না!
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
এমএইচবি/আরইউ