নিগার সুলতানা জ্যোতি কথায় মুগ্ধতা ছড়াতে পারেন সহজেই। স্পষ্টভাষী, পরিষ্কার ভাবনা, গভীর ক্রিকেট বোধ তার বক্তব্যে পূর্ণতা দেয়।
শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ও স্বাগতিক। সিলেটে বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (স্পোর্টস) মাহমুদুল হাসান বাপ্পির সঙ্গে এর আগে নিজের নেতৃত্ব, এশিয়া কাপ, দলের কাছে প্রত্যাশা, ‘মানকাড আউট’ নিয়ে আলাপ হয়েছে জ্যোতির। আরও বিভিন্ন ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন নিজের ভাবনা।
বাংলানিউজ : অভিনন্দন জানিয়েই শুরু করি। হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতলেন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের। নামের আগে ‘চ্যাম্পিয়ন’ শব্দটা জুড়ে যাওয়ার অনুভূতি কেমন?
জ্যোতি : আপনাকে ধন্যবাদ। চ্যাম্পিয়নশিপ তো আসলে চ্যাম্পিয়নই। এটার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। যখন আপনি এই তকমা পাবেন, নামের আগে ‘চ্যাম্পিয়ন’ থাকবে, নিজের মধ্যেই আলাদা একটা অনুভূতি হবে। আমরা পুরো টুর্নামেন্টের মধ্যে সেরা দল হয়েছি বা এমন; দল হিসেবে এটা খুব ভালো লাগার বিষয়, ব্যক্তিগতভাবে তো অবশ্যই।
বাংলানিউজ : বাছাই পর্ব কী আপনাদের জন্য একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে এখন?
জ্যোতি : বাছাই পর্ব তো আমরা খেলতে চাই না। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচও কম খেলেছি এতদিন। এ কারণে শুধু বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো খেলেই র্যাংকিংয়ে উন্নতি হতো। এখন তো তেমন থাকছে না, এফটিপির ভেতর টি-টোয়েন্টি সিরিজগুলোও আছে। এখানে যদি আমরা ভালো করি, জিততে পারি; তাহলে র্যাংকিংয়ে উন্নতি হবে। বিশ্বকাপ বাছাই তখন আর খেলতে হবে না।
বাংলানিউজ : আপনার তো খুব ভালো টুর্নামেন্ট গেল। ৫ ম্যাচে ১৮০ রান করে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন...
জ্যোতি : দলের জন্য কিছু করতে পেরেছি, এটাই আসলে আমার সবচেয়ে বড় অনুভূতি। সবসময় চেষ্টা করেছি দলের জন্য করতে, এটা করতে গিয়ে ব্যক্তিগত অর্জন হয়ে গেছে। এশিয়া কাপের আগে এমন কিছু আমার জন্য ইতিবাচক ব্যাপার। বুস্ট-আপ করবে এই ভালো ফর্ম চালিয়ে নিতে।
বাংলানিউজ : অধিনায়ক হিসেবে দলকে সবসময় সামনে থেকে এমন নেতৃত্ব দেওয়াটাও নিশ্চয়ই ভীষণ জরুরি?
জ্যোতি : যখন আপনি ব্যক্তিগতভাবে পারফর্ম করবেন, দলের জন্য কাজ সহজ হয়ে যাবে। আমি যখন দলে অবদান রাখছি, ফলটা কিন্তু ভালো আসছে। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া বা এমন যা কিছু বলেন, সবকিছু এমনিতেই সহজ হয়ে যায়।
নিজের পারফর্ম্যান্সটা দলের ওপর অনেক প্রভাব ফেলে। আমি যেহেতু পারফর্ম করছি, ভালো একটা জায়গায় (টপ-অর্ডার) ব্যাট করে রান করে দিচ্ছি; দলের জন্য ভালো হচ্ছে। সব মিলিয়ে পারফর্ম করলে আপনার জন্য সব কাজই সহজ। না করলে আবার আপনি বুঝতেও পারবেন না কখন কঠিন হয়ে যাবে সবকিছু।
বাংলানিউজ : অধিনায়কত্ব করছেন এখন বেশ অনেকদিন হলো। দলের কাছে নিশ্চয়ই নির্দিষ্ট চাওয়াও তৈরি হয়েছে?
জ্যোতি : সবাইকে আমি বারবার শুধু বলি, দল হিসেবে যেন পারফর্ম করতে পারি। কারণ আমরা এখন এমন এক দল, আমার যেটা মনে হয়; এক-দুজন খেললে ম্যাচ জিততে পারি না। যখন ম্যাচ জিতি, সবারই একটু হলেও অবদান থাকে।
আমার দলের কাছে এই ছোট ছোট অবদানই চাওয়া থাকে। বড় কিছু চাই বা বলি না। কিন্তু আমি চাই, সবাই যেন অবদান রাখে। দলের সবচেয়ে সিনিয়র হোক অথবা জুনিয়র; জয়ে যেন তাদের অবদান থাকে।
বাংলানিউজ : নেতৃত্বের একটা চ্যালেঞ্জের কথা বলতে পারি। ধরুন, মারুফাকে আপনি যাওয়ার আগে পাশে বসালেন। বললেন, ওর মধ্যে সম্ভাবনা আছে। কিন্তু গিয়ে একটাও ম্যাচ খেললো না, এখন দল থেকে বাদও পড়ে গেল। তাকে অধিনায়ক হিসেবে কীভাবে বুঝালেন?
জ্যোতি : মারুফাকে কিন্তু আমরা প্রস্তুতি ম্যাচে ট্রাই করেছি। ও উঠতি একজন ক্রিকেটার। এখনও অনেক সময় আছে। ভালো করছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে ওর আরেকটু অভিজ্ঞতা দরকার। বয়স একদম কম। আন্তর্জাতিকের চাপ নেওয়াও শিখতে হবে।
কথাটা এমন না যে ওকে খেলানো হয় নাই। টিম কম্বিনেশনের কারণে একাদশে নেওয়া যায়নি। আমরা ওই জায়গায় স্পিনার নির্ভর দল সাজিয়েছি, পেসাররা তেমন ডমিনেট করতে পারেনি। এ কারণে টিম কম্বিনেশনের জন্য নেওয়া যায়নি। ওর এখনও সম্ভাবনা আছে খেলার। নেটে কাজ হয়েছে ওর সঙ্গে। বলেছি, পরের পরিকল্পনা ঠিক করতে।
বাংলানিউজ : সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি ‘ফিলোসোফি’র কথা আসছে। এত এত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, ম্যাচ। উদ্ভাবনী অনেক কিছু দেখা যাচ্ছে। আপনি নেতা বা আপনারা দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে আসলে কীভাবে দেখেন?
জ্যোতি : টি-টোয়েন্টি গত দুই বছরে আমরা তেমন খেলতেই পারিনি। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের পর তেমন ম্যাচ হয়েছে বলে মনে পড়ছে না। তবুও এখন দু-তিনটা টুর্নামেন্ট খেলেছি, সামনে আরও কিছু খেলবো। দলও টি-টোয়েন্টিতে ভালো করছে।
সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় যেমন বললেন, বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হচ্ছে। আমাদের দলের অনেকেরই সক্ষমতা আছে ওগুলোতে খেলার। তারা যদি খেলে, অভিজ্ঞতা অর্জন করে, আমরাও নিশ্চয়ই ধারনা পাবো এসব সম্পর্কে; দল হিসেবেও উপকৃত হবো।
বাংলানিউজ : এই বিশ্বকাপ বাছাইতেও আপনার ৪০ বলে ৫৬ রানের একটা ইনিংস আছে। মেয়েদের ক্রিকেটের হিসেবে এটা বেশ ভালো আক্রমণাত্মক ইনিংস। আপনার ব্যাটিংয়ের ‘ইন্টেন্ট’ কি এমনই?
জ্যোতি : দেখেন, পরিস্থিতি বুঝে খেলতে পারাটাই আমার মনে হয় সবচেয়ে উত্তম। একজন ক্রিকেটার রিয়্যাক্ট করবে কীভাবে? স্কোরবোর্ড কেমন চাচ্ছে সেটার দিকেই তাকানো উচিত আমার মতে। আপনি খুব হেলদি একটা পজিশনে আছেন, ওভারে ৭-৮ করে আসলে হয়ে যায়; তখন আমি হাই রিস্কে যাবো না।
যখন আমার স্কোরবোর্ড চাইবে, অনেক রান দরকার। তখন আমি আক্রমণাত্মকভাবেই খেলবো। পরিস্থিতি মেনে, দলের চাওয়া কী এটা দেখে খেলার চেষ্টা করি। আবার অনেক সময় তো হয়ও না। দেখা গেল আপনি যেভাবে চাচ্ছেন, হচ্ছে না।
এটা মানিয়ে নেওয়াই ক্রিকেটার হিসেবে সবচেয়ে জরুরি। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, টুর্নামেন্টটাতে আরও ভালো করতে পারতাম। ডট বল খেলা আরেকটু কমালে ৫-১০টা রান বেশি হতো, পাঁচটা রানও যদি বেশি করতে পারতাম; দলের জন্য অনেক ভালো হতো। ইচ্ছে আছে এশিয়া কাপে যদি পাঁচ পার্সেন্টও কমিয়ে দিতে পারি তাহলে দলের জন্য অনেক ভালো হবে।
বাংলানিউজ : বিদেশ থেকে ফিরলেন দুদিন হলো। এখন আবার এশিয়া কাপ। মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে?
জ্যোতি : আমরা কিন্তু সবসময় বলতাম যে যেন ব্যস্ত থাকি, ওই ব্যবস্থা করে দেন। এখন আমরা ব্যস্ত আছি, এটা আমাদের জন্য আনন্দের। বেশি ম্যাচ খেলতে চেয়েছি, ফাইনালি সেটা হচ্ছে। আমরা অনেক রোমাঞ্চিত ও খুশি।
এখন সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সবার ফিট থাকা। সেটা পারলে আমরা সামনের সিরিজগুলোতে ভালো করতে পারবো। অবশ্যই টানা খেলা কষ্টের, পরিবার থেকে দূরে থাকাও। আমরা যেহেতু পেশাদার ক্রিকেটার, মানিয়ে নেওয়াই বড় ব্যাপার।
বাংলানিউজ : পরিবার থেকে দূরে থাকার কথা বললেন। এটা কী জীবনে অনেক কিছু শেখায়ও? সাকিব আল হাসান যেমন বলেন, কাউন্টি খেলতে গিয়ে ডিম ভাজি করা শিখেছেন, রান্না করেছেন...
জ্যোতি : আমাদের ভাই রান্না-বান্না করা লাগেনি (হাসি)। এখন আমরা দলের সঙ্গে এত বেশি থাকি, এটাই একটা পরিবার হয়ে গেছে। দেখা গেল বাসায় যাওয়ার সপ্তাহখানেক পর অস্থির লাগে, মনে হয় কবে দলের সঙ্গে ফিরবো।
কারণ আমাদের মধ্যে বন্ধনই এমন। একসঙ্গে, এতদিন যখন থাকবেন; সবচেয়ে কাছের এটাকেই মনে হবে। আর কষ্ট অবশ্যই লাগে পরিবার থেকে দূরে থাকলে, কিন্তু আমার পরিবার অনেক সাপোর্টিভ।
কখনও বাসা থেকে আমাকে বলেনি, তুমি বাসায় আসছো না কেন অথবা আমাদের খারাপ লাগছে তোমার জন্য। আমার বাসা থেকে সবসময় বলে, জাতীয় দলের হয়ে খেলছো। এটা তোমার দায়িত্ব, পালন করো ঠিকভাবে।
আমি যেন মানসিকভাবে ভালো অনুভব করি, পরিবার থেকে এর চেষ্টা করে সবসময়। এমন এমন কথা শুনি, এরপর আর খারাপ লাগে। আর এখন তো যোগাযোগ করা সহজ হয়ে গেছে। শারিরীকভাবে হয়তো থাকতে পারি না, কিন্তু অন্যভাবে থাকি।
বাংলানিউজ : আপনার ব্যাপারটা না হয় বুঝলাম, পরিবার সমর্থন দেয়। বাকিদের? আপনার কাছে তারা মন খারাপ নিয়ে আসে?
জ্যোতি : আসে বলতে দলকে চাঙা রাখার চেষ্টা সবসময় হয়। সময় পেলে একসঙ্গে আড্ডা দেই, গান-বাজনা করি, সবাই মিলে ঘুরতে যাই। লম্বা সফরে শারিরীকের চেয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটা জরুরি হয়ে পড়ে। সেটার চেষ্টা আমার বা ম্যানেজম্যান্টের পক্ষ থেকে করা হয়।
বাংলানিউজ : আপনি বলেছেন বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চান কতটা উন্নতি করেছেন, কীভাবে দেখাবেন?
জ্যোতি : ভালো ফল করে।
বাংলানিউজ : এর শুরু কি এশিয়া কাপ থেকেই হবে?
জ্যোতি : শুরু তো হয়েছে, বাছাই পর্বেও চ্যাম্পিয়ন হলাম। এখন এশিয়া কাপে দেখানোর পালা। দেখানো বলতে ম্যাচ বাই ম্যাচ যাবো, পরিকল্পনা করে খেলবো। আমরা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, এটা আলাদা একটা শক্তি দেবে। এর ওপর আমাদের ঘরের মাঠে খেলা।
বাংলানিউজ : বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বা স্বাগতিক হওয়া তো চাপেরও ব্যাপার?
জ্যোতি : দেখেন, প্রত্যাশা কখনো চাপ হতে পারে না। মানুষ আশা করলে আরও ভালো লাগে, আমি অন্তত এভাবেই ভাবি। মানুষের আশা পারফরম্যান্স ভালো করতে উদ্বুদ্ধ করে। যত মানুষ চাইবে আমরা ভালো করি, এটা আরও শক্তি যোগাবে।
বাংলানিউজ : এশিয়া কাপ জেতার পথ কতটা কঠিন?
জ্যোতি : আপনি বলতে পারতেন, কতটা সহজ করতে পারবো। প্রশ্নটা কেমন যেন হয়ে গেল! (হাসি)
বাংলানিউজ : আচ্ছা তাই বলুন, কত সহজ করতে পারবেন...
জ্যোতি : দেখেন, আমি বলব ক্রিকেটে কোনো কিছুর নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না। তবে আমাদের দল খুব ভালো অবস্থানে আছে। সবাই ইতিবাচক ভাবছে এশিয়া কাপ নিয়ে। শেষ স্মৃতিটাও যেহেতু অনেক বেশি ভালো... (চ্যাম্পিয়ন)।
দল বাছাই পর্বে ভালো করেছে। টপ অর্ডাররা রান করছে, বোলাররা ভালো শুরু এনে দিচ্ছে। সবাই দলে অবদান রাখছে। আমরা যদি নিজেদের ক্রিকেট খেলতে পারি, নির্দিষ্ট দিনে ভুল কম করি; তাহলে আমরা ভালো একটা ফল করবো।
বাংলানিউজ : কাদের মনে হচ্ছে প্রতিপক্ষ হিসেবে একটু বেশি শক্তিশালী?
জ্যোতি : টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কিন্তু নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারবেন না কে কী করবে। আমি যেটা ফিল করি, প্রতিটা দলই কাছাকাছি। থাইল্যান্ড, মালেশিয়াও ভালো করছে। সবাই এখানে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে আসবে, ওরকম প্রস্তুতি নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলানিউজ : আর ভারত, ওদের নিয়ে চিন্তা হচ্ছে না?
জ্যোতি : আমি ব্যক্তিগতভাবে ও দল হিসেবে অন্য দলের শক্তিমত্তা নিয়ে চিন্তা করি না। আমার নিজের কী আছে, কোথায় শক্তি, কোথায় দুর্বলতা এসব নিয়েই ভাবি। কীভাবে কাজ করলে অন্য দলের বিপক্ষে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারবো এটা নিয়ে চিন্তা করি।
এখন যদি ভাবি, ভারত কত শক্ত, ওরা ভালো করছে কি না; তাহলে তো ক্রিকেট খেলতে পারবো না। এজন্য নিজের দল নিয়েই ভাবছি, কীভাবে তাদের বিপক্ষে আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগানো যায় এগুলো নিয়েই চিন্তা করছি।
বাংলানিউজ : ভারতের প্রসঙ্গ যেহেতু আসলো, তারা এখন আলোচনায় দ্বীপ্তি শর্মার ‘মানকাডিং’ নিয়ে। আপনি এই আউটকে কীভাবে দেখেন?
জ্যোতি : আইসিসি তো এটাকে এপ্রুভাল দিয়েছে, তাই না? তাহলে! ক্রিকেট এক ধরনের যুদ্ধ, প্রতিটা ম্যাচও। যুদ্ধে কিন্তু সবকিছুই ফেয়ার। জিততে আপনি যেকোনো অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। দীপ্তি শর্মার মনে হয়েছে, এই অস্ত্র ব্যবহার করবে, করে ম্যাচ জিতেছে। এখানে আবেগের কোনো জায়গা নেই।
কেউ যদি ভাবে ওই মেয়ে শেষ উইকেট ছিল, ম্যাচটা জিততে পারতো বা ইত্যাদি। এগুলো আমি ওভাবে চিন্তা করি না। আইসিসি এপ্রুভ করা রুলস অনুযায়ীই আউট করেছে, আম্পায়ারও আউট দিয়েছে। আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেটের ভাষায় যা যা করা দরকার ছিল ম্যাচ জিততে, দীপ্তি করেছে।
বাংলানিউজ : আপনি যদিও বোলার না। কিন্তু যদি কখনো সুযোগ আসে, আপনি ‘মানকাডিং’ করবেন?
জ্যোতি : দলের দরকার হলে অবশ্যই করবো। কেন করবো না? তবে ওয়ার্নিং দেবো আগে।
বাংলানিউজ : যদি নিজে আউট হন, খারাপ লাগবে না?
জ্যোতি : ব্যাটার হিসেবে এমন আউট হওয়া কিন্তু অনেক কষ্টের। যেহেতু আমরা ক্রিকেট খেলছি, এটা মাথায় রাখতে হবে যে এমন একটা আউট হয়। আমাদের এজন্য সতর্ক থাকতে হবে যে কতটুকু বের হলে কতক্ষণে ফিরতে পারবো। সহজ বিষয়।
বাংলানিউজ : এশিয়া কাপের জন্য শুভ কামনা রইল...
জ্যোতি : দোয়া করবেন। দেশের মানুষের কাছেও দোয়া চাই যেন ভালো করতে পারি।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৪১, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
এমএইচবি