সিলেট থেকে: পৃথিবীতে কত অদ্ভুত ধরনের প্রতিযোগিতার কথা শোনা যায়। দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ মন্টিনেগ্রোতে যেমন প্রতি বছর বসে অলস থাকার লড়াই।
সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম দেখলেই মনে হয়, এখানে খেলার বদলে মুগ্ধ হওয়ার লড়াই-ই চালিয়ে দেওয়া যায় অনায়াসে। জমতোও নিশ্চয়ই বেশ। শহরের কোলাহল এমনিতেও সিলেটে খুব একটা নেই। সিএনজিতে শ’ দুয়েক টাকা খরচ করে স্টেডিয়ামে এলে কোনো একটা রিসোর্ট বলেই মনে হবে।
শনিবার থেকে নারী এশিয়া কাপ শুরু হচ্ছে। সাত দল অংশ নেবে, তাদের সবাই অনুশীলন করেছেন শুক্রবার। তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে সবার। তবুও কেমন শান্ত, স্নিগ্ধ-সুন্দর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
দুপাশে উঁচু উঁচু টিলা। চা বাগান উপরে। স্টেডিয়ামে গ্যালারি আছে, চেয়ারও। আবার আছে উঁচু টিলা, দর্শকদের জন্যই। ভুল করে দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা নিউজিল্যান্ডে চলে যাওয়ার কথা মনে হতে পারে।
এমনিতে এখন একটু ব্যস্ততা বেড়েছে মাঠে। স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ঠিকঠাক করা হচ্ছে শেষ মুহূর্তে। টুকটাক পেরেক মারার শব্দ তাই কানে ভাসছে। সাত দলকে সামলাতে নিরাপত্তা রক্ষীও অনেক, এর সঙ্গে সাংবাদিকরা তো আছেনই। তবুও শান্তির পরশ বুলিয়ে দিয়ে যায় সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
এসবের বাইরেও দেশের ক্রিকেট সাক্ষী হতে যাচ্ছে অভিনব এক নতুনত্বের। নারী এশিয়া কাপের সব ম্যাচই হচ্ছে সিলেটে। একটা মাঠে নয় কিন্তু। মূল স্টেডিয়ামের বাইরেই আউটার মাঠ। সেখানেই হবে প্রথম পাঁচদিনের খেলা। এর আগে বিসিএল-এনসিএলের খেলা হলেও এবারই প্রথম হচ্ছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
অনেক নতুনত্বের শুরুতে বাংলাদেশের লড়াই শিরোপা ধরে রাখার। এর বাইরে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়েও শান্তি খুঁজতে পাওয়া যাবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। এত কিছুর পর একটা প্রশ্নই মনে বারবার ঘুরছে, প্রকৃতির সৌন্দর্যের লড়াইয়ের ‘ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন’ আসলে কে?
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
এমএইচবি/এমএইচএম