তিনদিনেই ম্যাচ হারল চট্টগ্রাম বিভাগ। বৃথা গেল ইরফান শুক্কুরের সেঞ্চুরি।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার রংপুরের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১২৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল চট্টগ্রাম। আগের দিনের অপরাজিত থাকা ব্যাটার ইরফান শুক্কুর সঙ্গী করেন হাসান মুরাদকে। তাদের জুটিতে আসে ৪১ রান। ৪৫ বলে ৫ রান করে মুরাদ ফেরার পর ৮২ বলে ৮ চারে ৬৭ রান করে ইরফান বোল্ড হন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধের বলে।
এরপর ইয়াসিন আরাফাত মিশু ও আহমেদ শরীফ নবম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫৩ রান। ৪৭ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় মিশুর ৩২ রান। অন্যদিকে ৩২ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন শরীফ। এতে ১৯৯ রানে গিয়ে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। ১০৪ রানের লক্ষ্য পায় রংপুর।
শুরুতে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল চট্টগ্রাম। তবে অবিচ্ছেদ্য চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৪ রান তুলে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তানবীর হায়দার ও নাসির হোসেন। তানভীর ৫৪ বলে ৪ চারে ৩৬ ও নাসির ৪৪ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। চট্টগ্রামের হয়ে ২ উইকেট নাইম হাসানের, একটি নেন হাসান মুরাদ।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে এনসিএল টায়ার-১ এর আরেক ম্যাচে আগেরদিন সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা ঢাকা বিভাগ তৃতীয় দিনে পিছিয়ে পড়েছে। দ্বিতীয় দিনে শেষ করেছিল ২ উইকেটে ৮৮ রান তুলে। ১৭ রানে সাইফ হাসান ও ২৫ রানে রকিবুল হাসান অপরাজিত ছিলেন।
তৃতীয় দিনে কতৃত্ব দেখিয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় ঢাকা বিভাগ। এক প্রান্ত আগলে রেখে লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন শুভাগত হোম। তবে মিস করেছেন সেঞ্চুরি, ১৫২ বলে ৫ চারে সাজান ৮৯ রানে থামে তার ইনিংস। সঙ্গ দেওয়া মাহিদুল ইসলাম ২৩ ও সুমন খান করেন ১৫ রান। পেসার তানজিম হাসান সাকিবের ৫ উইকেট পাওয়ার দিনে ঢাকা অলআউট হয়েছে ২৫৬ রানে। এতে সিলেটকে ২২৮ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে তারা।
সিলেট তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ১১০ রান তুলে। জাকির হাসানকে নিয়ে অবিচ্ছেদ্য ৪১ রানের জুটিতে দিন শেষ করে এসেছেন ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন। ১২৩ বলে ৪ চার ১ ছক্কায় ইমতিয়াজ ৪২ ও ৫৫ বলে ১ চারে ২০ রানে অপরাজিত জাকির।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
এমএইচবি/আরইউ