ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম পেসার বলা হয় তাকে। বাতাসে সুইং করানোর অসামান্য দক্ষতার কারণে তাকে বলা হতো 'সুলতান অব সুইং'।
নিজের নতুন আত্মজীবনীতে ওয়াসিম আকরামের এমন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিতে বিস্মিত ক্রিকেটবিশ্ব। ২০০৩ সালে অবসর নেওয়ার আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়া আকরাম আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘ক্রিকেট ছাড়ার পর কোনো বিষয়ে নিজেকে ডুবিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। দক্ষিণ এশিয়ার লোকজন সাধারণত কোনো নেশা এবং দুর্নীতিতে ডুবে থাকতে ভালোবাসে। এক রাতে তারা দশটা পার্টিতে যায়। আমারও সেই কাজ করতে গিয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ’
আকরাম আরো লিখেছেন, “সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হলো―কোকেনের ওপর একসময় নির্ভরশীল হয়ে পড়ি! ইংল্যান্ডে একটা পার্টিতে প্রথম কোকেন গ্রহণ করেছিলাম। ধীরে ধীরে অভ্যাস বেড়ে যেতে থাকে। একটা সময় মনে হতো, শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য কোকেন নিতেই হবে! হুমা একদিন আমাকে ধরে ফেলে। আমার ওয়ালেটে কোকেনের প্যাকেট দেখে বলে, ‘তোমার সাহায্য দরকার। ’ আমি রাজি হয়ে যাই। ”
নেশার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসা নিয়ে আকরাম বলেন, ‘পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিল। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। একটা থেকে দুটি, দুটি থেকে চারটি―আমার কোকেন গ্রহণের পরিমাণ বেড়েই যাচ্ছিল। রাতে ঘুমাতে পারতাম না। ডায়াবেটিস বেড়ে যাচ্ছিল। সেটা খেয়ালই ছিল না। যে কারণে মাথা ব্যথা এবং মুড পরিবর্তন হতে থাকে। আমার গর্ব ভূলুণ্ঠিত হচ্ছিল। আমার প্রতি হুমার শেষ যত্ন ছিল মাদক থেকে আমাকে বের করে আনা। আমি সেটা পেরেছিলাম। তার পর থেকে আর ছুঁয়েও দেখিনি। ’
প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর নিজেকে নেশার জগৎ থেকে সরিয়ে নেন আকরাম। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করে থিতু হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে তার একটি কন্যাসন্তানও আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
এমএইচএম