ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিপ্লবী বিনোদ বিহারী সড়ক নামকরণের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
বিপ্লবী বিনোদ বিহারী সড়ক নামকরণের দাবি ...

চট্টগ্রাম: বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনের সহযোদ্ধা বিনোদ বিহারী চৌধুরীর জন্মদিনে নগরে তাঁর নামে একটি সড়ক ও দৃশ্যমান স্থানে একটি ভাস্কর্য স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে নগরের মোমিন রোডে প্রয়াত এই বিপ্লবীর সাবেক বাসভবনে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নাগরিকরা এ দাবি জানান।

 

সকালে দ্য চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি দীপংকর চৌধুরী কাজল, চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশনের সহ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সমরেশ বৈদ্য, কোষাধ্যক্ষ বিবেকানন্দ আচার্য, সমাজসেবক সুভাষ চৌধুরী, শিক্ষক অশোক বিজয় দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপিকা রীতা দত্তের নেতৃত্বে সারদা সংঘের উদ্যোগেও প্রয়াত এই বিপ্লবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নাগরিকরা প্রয়াত এই বিপ্লবীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দি চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে প্রয়াত বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরীর একটি আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে নগরের একটি প্রধান সড়ক প্রয়াত এই বিপ্লবীর নামে নামকরণের জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা আশা করি  চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।

চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় ১৯১১ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবনের অধিকাংশ সময়ই কেটেছে বিভিন্ন কারাগারে। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৩০ সালের ১৮-২২ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহের মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যে ৪ দিন (স্বাধীন ছিল) ব্রিটিশদের শাসন থেকে মুক্ত ছিল সেই যুববিদ্রোহের অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন বিনোদ বিহারী চৌধুরী। সেই যুদ্ধে তিনি কণ্ঠনালিতে গুলিবিদ্ধ হলেও সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। বাংলাদেশের বেসরকারি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত বিনোদ বিহারী চৌধুরী তাঁর জীবদ্দশায় ছাত্র পড়িয়েই জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেছেন। ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ব্রিটিশ-পাকিস্তান এবং স্বাধীন বাংলাদেশেও সমাজ-রাষ্ট্রের নানা অনিয়ম-অসংগতির বিরুদ্ধে, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করে গেছেন বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।