ঢাকা, বুধবার, ০ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মায়াবিনী মহামায়া

পলাশ দে, নিউজরুম এডিটর  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
মায়াবিনী মহামায়া লেক-পাহাড়ের অপরূপ মেলবন্ধন। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: পাহাড়, ঝর্ণা ও লেক যেখানে মিতালী করেছে তেমনই একটি জায়গা মহামায়া লেক। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মহামায়া।

পাহাড়ের কোলে আঁকাবাঁকা লেকটি দেখতে অপরূপ সুন্দর। এই মহামায়া লেকেএ অন্যতম আর্কষণ পাহাড়ি ঝর্ণা এবং এর স্বচ্ছ পানি।
আর চারপাশের সবুজের চাদর বিছানো পাহাড়ে নানা প্রজাতির পাখির কলকাকলি দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাইয়ের দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদিঘী বাজার নেমে অটোরিকশায় যাওয়া যাবে মহামায়া লেক ইকোপার্কে। আবার নিজস্ব পরিবহনেও সরাসরি চলে আসা যাবে এ ইকোপার্কের প্রান্তে।  

গেইটে ৩০ টাকায় টিকিট কেটে দর্শনার্থীরা ঢুকতে পারবেন ইকোপার্কের ভেতর। একটু যেতেই অভ্যর্থনা জানাবে সবুজ গাছের সারি। চারিদিকে সবুজ, উপরে সুনীল আকাশ আর নিচে এই অপূর্ব লেক দেখে ইট-পাথরের শহর জীবনের ক্লান্তি নিমিষেই মিলিয়ে যাবে।

ঘাট থেকে ছোট-বড় ইঞ্জিনচালিত বোটে ঘুরে বেড়াতে পারবেন লেকের স্বচ্ছ জলে। লেক পার হয়ে ভিতরে গেলেই দেখা মেলে ঝর্ণার। চাইলেই ঝর্ণার শীতল জলে গা ভিজিয়ে যেতে পারেন প্রশান্তির রাজ্যে। তবে সাঁতার জানা আবশ্যিক।

এক বোট চালক জানান, হাজার থেকে পনেরশ' টাকার মধ্যে বোট ভাড়া পাওয়া যায়। ঝর্ণা পর্যন্ত গিয়ে আবার বোট ঘাটে ফিরে আসে। যারা ঝর্ণায় নামতে চান তাদের জন্য কিছুক্ষণ যাত্রাবিরতিও দেওয়া হয়।  

তবে যারা কায়াকিং করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য  মহামায়া লেক এক আদর্শ জায়গা। ঘাট থেকে ঘণ্টা প্রতি ২০০-৩০০ টাকায় এসব কায়াকিং বোট ভাড়া দেওয়া হয়।

লেকে কায়াকিং করতে আসা রিদোয়ান বলেন, চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন থেকে সকালে এসেই নেমে পড়েছেন কায়াকিং করতে। আর চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

শেষ বিকালে নৌকাতে বসে মহামায়া লেকের চারপাশের পাহাড় ও বিশাল জলরাশি মুগ্ধ করে তুলবে। সূর্য যখন অন্তিম নীলিমায় ডুবে যায় তখন লেকের পরিবেশটি খুবই চমৎকার লাগে। নিজের মুঠোফোনে অথবা ক্যামেরায় লেকের সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করতে পারেন, যা স্মৃতিতে থাকবে অমলিন। শীতকালে লেকের পাড়ের বিশাল ভূমিতে বিভিন্ন খেলারও আয়োজন করা যাবে।  

পার্ক থেকে বেরিয়ে রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে পারবেন দর্শনার্থীরা। আবার পথের ধারেই বেশকিছু দোকানও রয়েছে। চাইলে সঙ্গে করেও খাবার নিয়ে যাওয়া যাবে। তবে পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকের প্যাকেট-বোতল যত্রযত্র ফেলা যাবে না। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে দর্শনার্থীদের।

মহামায়ায় ঘুরতে আসা চবির সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান  বাংলানিউজকে বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মহামায়া লেক অন্যন্য। কাপ্তাইয়ের চেয়েও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ। কায়াকিং এর জন্য আদর্শ জায়গা। তবে যারা কায়াকিং করছেন তারা লাইফ জ্যাকেট পড়েননি। এব্যাপারে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।