ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বায়েজিদ লিংক রোডে চলতে হলে দিতে হবে টোল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
বায়েজিদ লিংক রোডে চলতে হলে দিতে হবে টোল ছবি সংগৃহীত

চট্টগ্রাম: এখনো শেষ হয়নি পুরো কাজ। তবুও খুলে দেওয়া হয়েছে যান চলাচলের জন্য।

তবে এতদিন এ পথে চলাচলে কোনও টোল দিতে না হলেও ভবিষ্যতে এ পথে চলতে হলে গুনতে হবে টোল। এরই মধ্যে টোলের খসড়াও তৈরি করেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এটিই হবে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় সড়ক, যা দিয়ে চলতে হলে দিতে হবে টোল। এর আগে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত আসা সড়ক থেকে টোল আদায় করা হতো। যা মূলত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য বহনকারী গাড়ি চলাচল করে।

সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বাংলানিউজকে জানান, যেহেতু প্রকল্প সংশোধনের কারণে ব্যয় বেড়ে গেছে, তাই তাই প্রকল্পের সড়ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে টোল নেবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

প্রকল্পের বর্ধিত অর্থ দিতে সরকার রাজি না হওয়ায় এ সিডিএ এ পথে হাঁটছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সিডিএর সংশোধিত ডিপিপির তথ্য অনুযায়ী, এই সড়ক দিয়ে চলতে হলে মোটরসাইকেলকে টোল দিতে হবে ১০ টাকা। তিন চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে ১৫ টাকা। প্রাইভেট কার, জিপ ও মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে ৫০ টাকা, পিকআপ ও মিনিবাসের ক্ষেক্রে ৮০ টাকা। এছাড়া এ রোডে বড় বাস চলাচলে ১০০ টাকা, চার চাকার ট্রাকের ক্ষেত্রে ১২০ টাকা এবং ছয় চাকার ট্রাকের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা টোল দিতে হবে। সবচেয়ে বেশি ২০০ টাকা টোল দিকে হবে ট্রেইলর বা কাভার্ড ভ্যান চলাচলে।

নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটারের সড়কটি ২০১৯ সাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। যদিও পুরোপুরি কাজ শেষ হয়নি প্রকল্পটির। এরই মধ্যে প্রকল্পের দুই দফা সংশোধনীতে মেয়াদ বেড়েছে ৪ বার।

২০১৩ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাওয়া এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৭২ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় ২০১৬, ২০১৮, ২০২০ এবং ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট চারবার সময় বৃদ্ধি করা হয়।  

এছাড়া ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রথম দফায় প্রকল্প সংশোধন করা হয়। এতে প্রকল্প ব্যয় আরও ১৪৮ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ৩২০ কোটি টাকা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
এমআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।