চট্টগ্রাম: সঞ্জয় দাশের বয়স ৬০ বছর। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের বুইজ্জার দোকান এলাকায় বাড়ি।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বুইজ্জার দোকান কর্ণফুলী নদীর দেওয়ানজীহাট খেয়াঘাটে বসে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এসময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা ঘাটে হাজির।
আকস্মিক কম্বল হাতে পেয়ে বলেন, ‘তারাই তো করোনার সময় চাল, ডাল, তেল ও লবণ দিছিল, এবার কম্বল দিল। আমার কী যে ভালো লাগছে, বুঝাতে পারবো না। ’
শুধু সঞ্জয় দাশকেই নয়, তাঁর মতো দেওয়ানজীহাট খেয়াঘাট ও চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকার শতাধিক নৌকার মাঝিদের কম্বল উপহার দেওয়া হয়েছে। কনকনে এই শীতের সময় কম্বল হাতে পেয়ে তাদের মুখে দেখা গেছে হাসির ঝিলিক। এভাবে নিয়মিত পাশে থাকার জন্য তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তারা।
কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন এনএনকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আবদুর রউফ মাস্টার, এনামুল হক, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের সভাপতি এম আবু নাসের, আওয়ামী লীগ নেতা মো. হারুন, মো. ফোরকান, যুবলীগ নেতা মো. সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা মো. আলী শাহ প্রমুখ।
একইদিন হোসনাবাদ ইউনিয়নেও এনএনকে ফাউন্ডেশনের কম্বল বিতরণ করা হয়। এসময় আওয়ামী লীগ নেতা অসীম বরণ সুশীল, মো. আলমগীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকাতেও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে এনএনকে ফাউন্ডেশন। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি শীতবস্ত্র দেওয়া হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দাতব্য প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি