চট্টগ্রাম: চন্দনাইশ থানার দোহাজারীর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন সার্ভার হ্যাক করে প্রথমে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করা হতো । পরে সেই জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য বানানো হতো পাসপোর্ট।
বৃহস্পতিবার ৯২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ্।
গ্রেফতাররা হলেন, মো. আরিফ (২৭), মো. জসিম উদ্দিন (৩০) ও মো. তারেক (২৯)।
পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ্ বলেন, গ্রেফতার চক্রের ৩ সদস্য রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করে দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে দিতেন। এই চক্রের একাধিক সদস্য কক্সবাজারেও সক্রিয় রয়েছে। এজন্য তারা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতেন। তাদের গ্রেফতারের পর জানতে পারি তারা দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের কাজ করে আসছে।
তাদের কাছ থেকে বেশকিছু জন্মনিবন্ধন উদ্ধার করা হয়েছে। যার সবগুলো রোহিঙ্গাদের। তারা বিপুল পরিমান জন্মনিবন্ধন তৈরি করেছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার আরিফ তার বোন পরিচয় দিয়ে আফরোজা আক্তার নামে এক নারীর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সময় সংশ্লিষ্ট পুলিশের কাছে কাগজপত্র উপস্থাপন করেন। তবে বাস্তবে তিনি ছিলেন রোহিঙ্গা। তার ঠিকানা দেখানো হয় চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ গাছবাড়িয়া এলাকায়। কিন্তু ওই ঠিকানায় আফরোজা নামে ওই নারীর কোনো অস্তিত্ব পায়নি পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে আরিফকে গ্রেফতার করা হয। সে ভুয়া ঠিকানায় রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্ট করে দেওয়ার চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি ২ জনকে গ্রেফতার হয়। এই চক্রের একজন টেকনিক্যাল পার্সন আছে। তাকে ধরতে পারলে বলতে পারবো কোন পদ্ধতিতে তারা সার্ভার হ্যাক করে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে দিচ্ছে। এখানে তারা বিভিন্ন ইউনিয়ন কাউন্সিলের স্বাক্ষরও জাল করছে। এসব জন্মনিববন্ধন ব্যবহার করে যাতে পাসপোর্ট ও এনআইডি তৈরি করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি