ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে: ডা. রাজীব রঞ্জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে: ডা. রাজীব রঞ্জন ...

চট্টগ্রাম: ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও প্রাচীন। দুই দেশের সংস্কৃতি এক ও অভিন্ন।

বর্তমানে দেশ দুটির বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে চাটগাঁ উৎসবের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বর্তমান সরকারের আমলে আর্থসামাজিক তো বটেই বিশ্ব রাজনীতিতেও বাংলাদেশ নিজের দৃঢ় অবস্থানটি তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে ভারত সবসময় ছিল, আছে এবং থাকবে। এই দুই ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধুরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের যে বন্ধন রয়েছে তা আরও দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হচ্ছে। প্রতিটি উৎসব আমাদেরকে আনন্দ দেয়, অনুপ্রেরণা যোগায়। পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিকভাবে উন্নত মানুষে পরিণত করে। জীবনকে আনন্দময় করে তুলতে উৎসবের শিক্ষাকে হৃদয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে চট্টগ্রামের সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ। বিশেষ করে চট্টগ্রামের নাটক ও আঞ্চলিক গান দেশ ও দেশের বাইরে খ্যাতি লাভ করেছে

চসিক সমাজ কল্যাণ ও কমিউনিটি সেন্টার স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুমের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, আলোচনা করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী পরিষদের সভাপতি সুকুমার চৌধুরী, ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশ গুপ্ত, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত ও বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সঞ্জীত আচার্য। স্বাগত বক্তব্য দেন বইমেলা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর ড নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু।  

প্রধান বক্তা আবু সুফিয়ান বলেন, চট্টগ্রাম একশ বা দুইশ বছরের কোনো শহর নয়। এটি হাজার বছরের পুরনো নগর। কৃষ্টি, বৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক সম্পদে চট্টগ্রাম অতুলনীয়। সমুদ্র তীরবর্তী চট্টগ্রাম চিরকালই ঝড়-তুফান-জলোচ্ছ্বাস কবলিত অঞ্চল। এখানকার মানুষকে লড়াই করতে হয় প্রকৃতির বিরুদ্ধে। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম, ভাষা ও সাংস্কৃতিক সংগ্রামে, জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে, মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের মানুষের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা আজ ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। ইতিহাস চট্টগ্রামকে চিহ্নিত করেছে বিপ্লবতীর্থ হিসাবে।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারকে অমর একুশে বইমেলার পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করেন ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। এছাড়াও ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বইমেলা কমিটিকে বই উপহার দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।