ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জেএমবি চট্টগ্রামের প্রধানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
জেএমবি চট্টগ্রামের প্রধানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

চট্টগ্রাম: নগরের আকবর শাহ থানার এনআর স্টিলমিলের সামনে থেকে বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডারসহ ৪  জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।  

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন আকবরশাহ থানার উপপরির্দশক (এসআই) বর্তমানে লক্ষীপুরে জেলার কমল নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানকে জেরা করেন আসামিরা।

 

চারজন জঙ্গি হলেন, দিনাজপুরের সরকারপাড়া গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে জেএমবি চট্টগ্রামের কমাণ্ডার এরশাদ হোসাইন প্রকাশ মামুন (২০), জেএমবি সদস্য গাইবান্ধার তুলশীপাড়ার মৃত আক্তার হোসেন সরকারের ছেলে বুলবুল আহমেদ সরকার প্রকাশ ফুয়াদ (২৬), ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুরের মমিনুল ইসলামের ছেলে মো. সুজন (২৪) ও কর্ণফুলী থানার ইছানগরের আব্দুল গণির ছেলে মাহাবুবুর রহমান প্রকাশ খোকন (৩৫)।  

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বাংলানিউজকে বলেন,  বিস্ফোরক আইনের মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডারসহ ৪  জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন আকবরশাহ থানার উপ পরির্দশক (এসআই) মোহাম্মদ সোলাইমানের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

এ মামলায় মোট ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হলো। আগামী ১৩ মার্চ আসামিদের পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
 
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নগরের আকবরশাহ থানার এন আর স্টিলমিলের সামনে জনৈক ওয়াসিমের ভাড়া ঘরে ২০১৫ সালে ২৩ মার্চ জেএমবির গোপন বৈঠক চলছিল। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, জিহাদি বইসহ এরশাদকে গ্রেফতার করে। অভিযানের সময়ে অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় আকবর শাহ থানার এসআই শহিদুর রহমান বাদী হয়ে এরশাদকে আসামি করে ও দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ (সংশোধিত ২০১৩) ও বিস্ফোরক উপাদানবলী (সংশোধন) আইন ২০০২ ধারায় মামলা করেন। ২০১৫ সালের শেষের দিকে নগরের কর্ণফুলী থানায় দায়ের হওয়া ভিন্ন তিনটি মামলায় বুলবুল আহমেদ সরকার, মো. সুজন ও মাহাবুবুর রহমান প্রকাশ খোকনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের তিনজনকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল চারজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পৃথক অভিযোগ এনে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেন আকবর শাহ থানার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ সোলায়মান। ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ নোমান চৌধুরী, সহযোগিতা করেন  অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু ঈসা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।