ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অনিয়ম করে শিল্পকারখানা পরিচালনা করা যাবে না: জেলা প্রশাসক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
অনিয়ম করে শিল্পকারখানা পরিচালনা করা যাবে না: জেলা প্রশাসক ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনিয়ম করে কেউ শিল্পকারখানা পরিচালনা করতে পারবে না। নিয়মের মধ্যে থেকেই সবাইকে প্রতিষ্ঠান চালাতে হবে।

সোমবার (৬ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম জেলার ভারী ও মাঝারি শিল্পপ্রবণ এলাকায় দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ণের জন্য অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করা।

এজন্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল খুঁটি শ্রমিক এবং সেই শ্রমিকের নিরাপত্তা, উদ্যোক্তাদের মূলধনের নিরাপত্তা দুটিকেই গুরুত্ব দিতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ হয়। এর আট মাস আগে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সীতাকুণ্ডে প্রতিবছরই দুর্ঘটনা ঘটছে। যার বেশিরভাগেরই মানবসৃষ্ট। খুব কমই প্রকৃতিগত। সেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে, বিস্ফোরণ ঘটছে।  

জেলা প্রশাসক বলেন, এ দুর্ঘটনা রোধে আমরা একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাই। এর মধ্যে কিভাবে আমরা দুর্ঘটনা হ্রাস করবো, এটি মানবসৃষ্ট হোক আর প্রকৃতিগত হোক, পরিবেশের দূষণ কিভাবে রোধ করবো, দূষণ থেকে খাল-নদী রক্ষা, ভূ-গর্ভস্থ পানি কিভাবে নিম্নে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে, কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি ও পাহাড় কাটা কিভাবে রোধ করা যাবে, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও মালিকদের মূলধনের নিরাপত্তা আমরা কিভাবে নিশ্চিত করতে পারি, এর পাশাপাশি সীতাকুণ্ড এলাকায় কিভাবে আমরা একটি মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারবো- সে বিষয়ে সবার মতামত আশা করছি। কর্ণফুলী, আনোয়ারা, মিরসরাই, হাটহাজারী এলাকায়ও শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। সে এলাকা নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসের মধ্যে শুধুমাত্র অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে ৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। অভিযানে ৩৫ লাখ টাকার অধিক জরিমানা আমরা করেছি। এক বছরের জেল পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। আমি আসার পর একটা লক্ষ্য ছিল, এখানে যাতে কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে।  কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, যেসব প্রতিষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের টিম অভিযান পরিচালনা করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানে কোনও ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।