ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাতই মার্চের ভাষণ অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষকে সাহস জোগাবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৩
সাতই মার্চের ভাষণ অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষকে সাহস জোগাবে ...

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান বলেছেন, সাতই মার্চের ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এই ভাষণ যুগে যুগে সব অবহেলিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে।  

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সাতই মার্চ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, বাঙালি জাতির শোষণ থেকে মুক্তির আন্দোলনে ৩টি বিষয় জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। জাতীয় সংগীত ও সাতই মার্চের ভাষণ এবং জয় বাংলা স্লোগান।

এই ৩টি বিষয় যুগে যুগে বাঙালির সব উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।  

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের ভাষণে দেশের মুক্তিকামী মানুষ আন্দোলনের শক্তি, উৎসাহ খুঁজে পায় যা পরবর্তীতে দেশের আপামর জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সুদীর্ঘ বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ প্রচারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি আলোকপাত করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করা পর্যন্ত বাঙালির গৌরবের ইতিহাস তুলে ধরেন। এ ছাড়াও তার বক্তৃতায় উঠে আসে পাকিস্তানি শাসনামলের বঞ্চনার ইতিহাস কীভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উজ্জীবিত বাঙালি বিজয়ের ইতিহাসে রূপান্তর করে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সাতই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এখানে মুক্তি বলতে তিনি বুঝিয়েছিলেন freedom from Poverty, freedom from Hungry। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।  

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ, জেলা ইউনিট কমান্ডের (ভারপ্রাপ্ত) কমান্ডার একেএম সরোয়ার কামাল উপস্থিত ছিলেন।  

পুরস্কার বিতরণ পর্বে জেলা শিশু একাডেমি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মুজিব আমার পিতা’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৩
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।