ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হালিম, মেজবানি মাংসসহ মুখরোচক ইফতারের জমজমাট বিক্রি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
হালিম, মেজবানি মাংসসহ মুখরোচক ইফতারের জমজমাট বিক্রি ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: হালিম, মেজবানি মাংস, বিরিয়ানি, চিকেন সাসলিক, তান্দুরি চিকেন, দইবড়া, রেশমি জিলাপি ইত্যাদি মুখরোচক মজাদার ইফতার চট্টগ্রামে বিক্রি হচ্ছে বেশি। গত বছরের চেয়ে দাম বেড়েছে কিছুটা।

তবে দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চাহিদা ও বিক্রি।  

শুক্রবার (২৪ মার্চ) নগরের আউটার স্টেডিয়াম, দামপাড়া, জিইসি, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

 

দামপাড়া পুনাক ভবনের হান্ডিতে ভিড়, ধাক্কাধাক্কি করে হালিম কিনতে দেখা গেছে। এবার মাটন হালিম প্রতিকেজি ৭৪০ টাকা, চিকেন হালিম ৭০০ টাকা ও বিফ হালিম ৭২০ টাকা বিক্রি করছে তারা। মাটন চাপ প্রতিকেজি ১ হাজার টাকা, বিফ চাপ ৯০০ টাকা, চিকেন বিরিয়ানি ২৫০ টাকা, হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি ২৭০ টাকা, মাটন নেহারি প্রতিটি ২৫০ টাকা, চিকেন সাসলিক ১০০ টাকা, চিকেন ফ্রাই ৬০ টাকা, তান্দুরি চিকেন ১৩০ টাকা বিক্রি করা হচ্চে।  

হান্ডির পাশেই ধাবাতে মাটন হালিম কেজি ৭৪০ টাকা, বিফ হালিম ৭২০ টাকা, চিকেন হালিম ৭২০ টাকা, দই বড়া ২ পিস ১৭০ টাকা, শাহি জর্দা ৩২০ টাকা, শাহি জিলাপি ৪৬০ টাকা, মাটন ল্যাম্ব রোস্ট কেজি ১ হাজার ৫০০ টাকা, মাটন নেহারি ১ হাজার ২০০ টাকা, চিকেন হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি ৩৫০ টাকা, রেশমি কাবাব ৮০ টাকা, বটি কাবাব ৮০ টাকা, বিফ মেজবানি ১ হাজার ১০০ টাকা, কাবলি চনা ৩৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।  

ধুলোবালিমুক্ত পরিবেশ ‘মনের মতো মজার মজার ইফতার’ স্লোগানে স্টেডিয়াম পাড়ার রোদেলা বিকেলে প্রতিকেজি দেশি চিকেন ও মাটন হালিম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা করে। মেজবানি গরুর মাংস কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা। জিলাপি ১০০ গ্রাম ১০০ টাকা, কিসমিস ফিরনি ৫০০ গ্রাম ৩২৫ টাকা, স্পেশাল পরোটা প্রতিটি ৭০ টাকা, দেশি চিকেন তান্দুরি প্রতি পিস ৩০০ টাকা, চিকেন ললিপপ ১০০ টাকা, বিফ বটি কাবাব প্রতি অর্ডার ২২০ টাকা, বিফ কাচ্চি বিরিয়ানি প্রতি প্লেট ৪৫০ টাকা, মাটন কাচ্চি ৫০০ টাকা, ফিশ টিক্কা কাবাব ৪ পিস ১ হাজার টাকা, টক দই ৫০০ গ্রাম ২৫০ টাকা, গরুর নলা প্রতি পিস ২০০ টাকা, মাটন চুইঝাল প্রতি প্লেট ৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।  

দামপাড়ায় ইফতার কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আইনুল করিম জানান, প্রথম রোজায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইফতার করি আমরা। আজ আবার শুক্রবার। পরিবারের ছোট্ট সোনামণিরা অনেকে রোজা রেখেছে। বাসায় শরবত, জুস, খেজুর, ছোলা ভাজা, দই-চিঁড়া, পেয়ারা, পাটিসাপটা, সেমাইসহ অনেক কিছু আছে। মূলত হালিম, দইবড়া, জিলাপি কিনতে বের হয়েছি। দাম একটু বেশি মনে হলো গতবারের চেয়ে।  

কাজীর দেউড়ির অ্যাপেলো শপিং সেন্টারের দক্ষিণ পাশে হোটেল জামানের স্টল। সেখানে প্রতিকেজি চনা ভুনা ২০০ টাকা, পেঁয়াজু, বেগুনি, মরিচা, আলুর চাপ, শাকবড়া ৫ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ডিম চাপ ২৫ টাকা, জিলাপি প্রতিটি ১৫ টাকা, সমুচা ১০ টাকা, অনথন ১৫ টাকা, শামি কাবাব ৪০ টাকা, চিকেন রোল ৪০ টাকা, চিকেন সাসলিক ৬০ টাকা, চিকেন হালিম ৬০০ টাকা, মাটন হালিম ৬৬০ টাকা, ফিরনি ২৮০ টাকা, জিলাপি ২৫০ টাকা, চিকেন বিরিয়ানি (সোনালি) ১৯০ টাকা, চিকেন বিরিয়ানি (ব্রয়লার) ১৬০ টাকা, বোরহানি লিটার ২০০ টাকা।  

অ্যাপোলের নিচতলায় বোম্বে রয়েল সুইটসে এবার প্রতিকেজি হালিম ৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা। পেঁয়াজু, বেগুনি ১০ টাকা করে।  

ইফতারের জন্য এবার দেশি ফলের কদর দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ৬০-৭০ টাকা প্রতিকেজি পেয়ারা, ১৫০-৩০০ টাকায় তরমুজ, ২০-৪০ টাকায় আনারস আর মানভেদে বিভিন্ন দামের কলা বিক্রি হচ্ছে বেশ। লেবু, পুদিনাপাতা, শসা, মুড়ির চাহিদাও বেশ। খেজুর মানভেদে ১৪০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৩ 
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।