ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রথম রোজায় ইফতার কেনার ধুম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
প্রথম রোজায় ইফতার কেনার ধুম

চট্টগ্রাম: বরাবরের মতো এবারও রোজার প্রথম দিনেই জমে উঠেছে নগরের ইফতার বাজার। নগরের অলিগলি থেকে অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্টে জিলাপি, ছোলা, পেঁয়াজু কাবাবসহ নানা চমকপ্রদ ও স্বাদের ইফতারসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।

আর সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন রোজাদারেরা।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরের আগে থেকে দোকানগুলোয় ইফতারের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে রেখেছেন।

বিকেল থেকে দোকানের সামনে বিভিন্ন ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। বিকেল গড়াতেই শুরু হয় বেচাকেনা। চলবে ইফতারের আগ পর্যন্ত।

যার মধ্যে রয়েছে কবুতর ও কোয়েলের রোস্ট, রেশমি জিলাপি, বোম্বে জিলাপি, রেশমি কাবাব, গ্রিল চিকেন, বুন্দিয়া, গরুর কালো ভুনা, কাচ্চি, মগজ ভুনা, চিংড়ি বল, পরোটা, লুচি, চিকেন তান্দুরি, চিকেন বটি কবাব, দই চিড়া। রয়েছে পেস্তা বাদাম শরবত, বেলের শরবত, তরমুজের শরবতসহ অসংখ্য পানীয়র আয়োজন।

এছাড়া রোজার প্রথম দিনে ফলের প্রতিও মানুষের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। দুপুর থেকে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হতে দেখা যায় কলা, বাঙ্গি, তরমুজ, আনারস, আপেল, আঙ্গুর ও বিভিন্ন ধরনের খেজুর। ইফতারে খেজুর ও ফলের চাহিদা বেশি থাকায় এসব দোকানে বেশি ভিড় দেখা যায়।

তবে ইফতার সামগ্রী ক্রয় করতে এসে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে তৈরি না হয় সেজন্য  বিভিন্ন স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।

দোকানিরা জানান, প্রতিবারের মতো এবারও ইফতারসামগ্রীতে রাখা যাবে নানা ধরনের বাহারি সব খাবার। স্পেশালের মধ্যে রয়েছে- মোরগের রোস্ট, কাবাব, কোয়েল-কবুতর ভুনা, মোরগ পোলাও, বটি কাবাব, টিকিয়া কাবাব, কোফতা, চিকেন কাঠি, শামি কাবাব, শিকের কাবাব, বিফ আখনি, মুরগির আখনি, হালুয়া, হালিম, কাশ্মীরি শরবত, ইসবগুলের ভূষি, পরোটাসহ অর্ধশতাধিক জাতের ইফতারসামগ্রী।  

নগরের চকবাজার, কাজির দেউড়ি, মুরাদপুর, জিইসি, বহদ্দারহাট, নিউমার্কেট, আগ্রবাদ, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন এলাকায় ইফতার বাজার রোজার প্রথম দিনেই পেয়েছে পূর্ণতা। এসব বাজারে ইফতারসামগ্রী কিনতে দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের।

নগরের জিইসি এলাকায় ইফতার কিনতে এসেছেন জোবায়ের আহমদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর প্রথম রোজায় তিনি এখানে ইফতার কিনতে আসেন। এবারও এসেছেন। তবে এবারের ইফতারির দাম একটু বেশি বলে মনে করছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, জিইসি মোড়ের সামনে যেন পা ফেলার জায়গা নেই। ক্রেতা-বিক্রেতার হই-হুল্লোড়ে মুখরিত পুরো ইফতার বাজার। চলছে বেচাকেনাও। এখানকার অস্থায়ী দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে সুতি কাবাব, জালি কাবাব, টিক্কাসহ প্রায় ১০-১৫ ধরনের কাবার। কাবাবের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ডিম চপ, পিয়াজু, চুলা, কাবাবসহ বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী। মিষ্টির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে শাহী জিলাপি, মিষ্টি, দইসহ নানা কিছু।  

চকবাজারে নিয়মিত হোটেল-রেস্তোরাঁর পাশাপাশি বসেছে অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ দোকানও। সেসব দোকানে ছোলা, বুট, মুড়ি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ডিম চপ, দই বড়া, ডাবলির ঘুঘনি, মিষ্টি, শাহী হালিম, গরু-মুরগি-খাসির হালিম, কাবাব, সবজি পাকোড়া, মাংসের চপের পাশাপাশি অনেকে তাদের নিজস্ব বিশেষ আয়োজন নিয়ে বসেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।