ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘৭১-এর গণহত‍্যাকে স্বীকৃতি না দেওয়া জাতিসংঘের চরম ব‍্যর্থতা’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
‘৭১-এর গণহত‍্যাকে স্বীকৃতি না দেওয়া জাতিসংঘের চরম ব‍্যর্থতা’ ...

চট্টগ্রাম: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে নগরের দোস্তবিল্ডিংয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সংগঠনটির জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজিত এক সভায় এ দাবি জানানো হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নগর সভাপতি সরফরাজ খান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ক্রিয়েটিভ ইউনিভার্সিটির ভিসি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ‍্যাপক জাহিদ হোসেন শরীফ, প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।
 

এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের মহানগর সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, জেলার সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌরী শংকর চৌধুরী, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মালেক খান, নারী বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, ডা. ফজলুল হক সিদ্দিকী, মো. কামাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান, ফারজানা মিলা, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, শিলা চৌধুরী, কোহিনুর আকতার, অ্যাডভোকেট সৈকত দাশগুপ্ত, আবদুল খালেক, রিমন বিন চৌধুরী আরমান প্রমুখ।  

সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ ভয়াল কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র নিরাপরাধ ও ঘুমন্ত সাধারণ বাঙালির ওপর যেভাবে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তা' পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা। একটি জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতা ও স্বাধিকারের দাবীকে চিরতরে মুছে দিতে এবং বাঙালি প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার নারকীয় পরিকল্পনা ছিল 'অপারেশন সার্চ লাইট'। এই ভয়াবহতম নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের স্মরণে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে চতুর্দশ অধিবেশনে ২৫ মার্চকে জাতীয় 'জাতীয় গণহত্যা দিবস' ঘোষণা করা হয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন দিবসটিকে ইতিহাসের ভয়ানক গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।  

বক্তারা আরও বলেন, জাতিসংঘ এরই মধ্যে বেশ  কয়েকটি গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি দিয়েছে  অটোমান টার্কদের  হাতে  ১৯১৫ সালের ১৫ লাখ  আর্মেনিয় গণহত্যা,  ১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডায় ৮ লাখ তুটসি জাতিগোষ্ঠীর গণহত্যা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে  নাজিদের হাতে ৬০ লাখ ইহুদি গণহত্যা, এমনকি স্বীকৃতি দিয়েছে ১৯৯২ সালের বসনিয়া ও ১৯৭৫ সালের কম্বোডিয়ার গণহত্যা। কিন্তু  পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের দোসরদের হাতে যে ৩০ লাখ বাঙালির পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ ঘটে, তার কোনো স্বীকৃতি আজও পর্যন্ত দিতে পারেনি বিশ্ব সংস্থা ! এই ব্যর্থতা কেবল দুঃখজনক নয়, বরং বিশ্ব সংস্থার চরম ব্যর্থতা ও দৈন্যতারই বহিঃপ্রকাশ। বাঙালি গণহত‍্যার এই দিবসটি আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি প্রদান আজ সময়ের দাবী।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।