ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চোর চক্রের ৫ জন গ্রেফতার, ২৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
চোর চক্রের ৫ জন গ্রেফতার, ২৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার ...

চট্টগ্রাম: শহর ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় চক্রের মূল হোতাসহ ৪ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় উদ্ধার করা হয় ২৪টি মোটরসাইকেল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাতকানিয়ার দক্ষিণ তুলাতলী বণিক পাড়ার মিঠন ধর (২৯), সন্দ্বীপের গাছুয়া চুম মাঝির বাড়ির মো. বাবর (৩৫), কালাপানিয়া ফয়েত আলী হাজী বাড়ির মো. শাহেদ (২৬), জুরি ধরের বাড়ির মো. রিপন (৪০) ও লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ইব্রাহীম সওদাগর বাড়ির মো. খোরশেদ আলম (২৯)।

রোববার (২৬ মার্চ) সিএমপির ডিসি দক্ষিণ বিভাগের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য দেন উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

পুলিশ জানায়, বিশেষ অভিযান চালিয়ে কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণ মাঠের রাস্তার ওপর থেকে শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চোর চক্রের মূল হোতা মিঠন ধর ও মো. বাবর প্রকাশ বাবুলকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ আটক করা হয়। পরবর্তীতে মিঠন ও বাবরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় তারা সহযোগী মো. শাহেদ (২৬), মো. রিপন (৪০), মো. খোরশেদ আলম (২৯), মো. দিদার হোসেন (৩০), মো. নজরুল ইসলাম তাহের (৩০) এর সহায়তায় চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশ এলাকা থেকে চুরি করা মোটরসাইকেল সন্দ্বীপ-কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করার তথ্য দেয়।  

কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, মিঠন ও বাবরের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২৫ মার্চ সন্দ্বীপ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শাহেদ ও রিপনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ২৩টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। অভিযান চলাকালে চোর চক্রের সদস্য মো. দিদার হোসেন (৩০) ও মো. নজরুল ইসলাম (৩০) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামি মিঠন ধরের তথ্য মোতাবেক চক্রের সদস্য খোরশেদ আলমকে কোতোয়ালী থানাধীন ব্রীজঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতনু চক্রবর্তী জানান, এ ঘটনায় রোববার (২৬ মার্চ) কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃত আসামিরা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।  

পুলিশ জানিয়েছে, আসামি মিঠন ধরের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থানায় ৩টি চুরির মামলা রয়েছে। মো. বাবরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী ও খুলশী থানায় ২টি মোটরসাইকেল চুরির মামলা আছে। এছাড়া খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় মোটরসাইকেল চুরির ১টি মামলা আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।