ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন  ...

চট্টগ্রাম: যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির অয়োজন করা হয়।

রোববার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেখ রাসেল চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান এনডিসি, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফি উল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সরোয়ার কামাল, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো. আবু সাইদ, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, জেলা  সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটওয়ারী, বিভাগীয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর, রেলওয়ে পুলিশ, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, এপিবিএন, সিআইডি, আনসার ভিডিপি, পরিবেশ অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, শিশু একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি,খাদ্য বিভাগ, সমাজসেবা কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।  

এরপর সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এদিন সকাল ৮টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুলিশ, কারারক্ষী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, বাংলাদেশ স্কাউটস, গার্লস গাইড কর্তৃক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান পরিদর্শনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, এনডিসি। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।  

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন  সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফি উল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সরোয়ার কামাল। শেষে জেলা শিশু একাডেমিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে (শারীরিক কসরত) অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে এদিন বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়।  

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান এনডিসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফি উল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সরোয়ার কামাল। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মহানগরীর ১৩০ জন ও জেলার ২২০ জনসহ  মোট ৩৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান এনডিসি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস বাঙালি জাতির পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করার মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও সুদক্ষ দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ অদম্য অগ্রযাত্রায় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক অতিক্রম করেছে। সরকারের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।

মহান স্বাধীনতা দিবসে হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশু পরিবার, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, জাতির শান্তি ও অগ্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় মসজিদ, মন্দির, গীর্জা প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে শিশুপার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানায় বিনা টিকিটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ২৬ মার্চ, ২০২৩ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।