ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিখোঁজ দুই কন্যা শিশুকে জীবিত উদ্ধার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
নিখোঁজ দুই কন্যা শিশুকে জীবিত উদ্ধার  ...

চট্টগ্রাম: নিখোঁজ দুই কন্যা শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

রোববার (২ এপ্রিল) রাতে নগরের হালিশহর থানাধীন সিএন্ডবি ও খুলশীর মাস্টার লেইন এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়।

 

উদ্ধার দুই শিশু হলো হালিশহরের রামপুরা এলাকার মো. আলমগীরের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশা এবং খুলশীর সেগুন বাগান এলাকার বেলাল হোসেনের কন্যা জান্নাত আক্তার। তারা দুজনই ৯ বছর বয়সী।

 

পুলিশ জানিয়েছেন, গত ২৮ মার্চ পড়ালেখার জন্য বকা দেওয়ায় হালিশহরের রামপুরা এলাকার বাসা থেকে অভিমান করে বের হয়ে যায় ৯ বছর বয়সী জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশা। আত্মীয়-স্বজনের বাসাবাড়িতে  খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে ২৯ মার্চ হালিশহর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শিশুর মা পারভীন আক্তার।  

সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা স্পিনা রানী প্রামাণিক জানান, শিশু মাইশাকে উদ্ধারের জন্য হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাহাদুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। উদ্ধার অভিযান পরিচালনা দল ওই শিশুর স্বজন ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থলের আশেপাশে তল্লাশি, নগরের বিভিন্ন থানায় মাইকিং ও বাস, রেল স্টেশন, শপিংমলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টারিং করে। এছাড়াও নগরীর মনসুরাবাদ, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, আম বাগান, পলোগ্রাউন্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে।  

রোববার রাতে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হালিশহরের সিএন্ডবি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ টিপুর  হেফাজত থেকে মাইশাকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ টিপু জানান, ‘গত ২৮ মার্চ রাত নয়টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে পিছু নেয় শিশু মাইশা। এ সময় নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করলে কিছুই জানাতে পারেনি শিশুটি। আশপাশে খোঁজ করেও কোনো স্বজন না পেয়ে নিরাপত্তার জন্য বাসায় নিয়ে যাই৷ পরবর্তীতে ওই শিশুর স্বজনদের খোঁজ করেও ব্যর্থ হই’।

এদিকে গত ২৭ মার্চ রাত নয়টার দিকে নগরের খুলশী সেগুন বাগান এলাকার ভাইয়ের বাসা থেকে নিখোঁজ হয় ৯ বছর বয়সী আরেক শিশু জান্নাত আক্তার। শিশুটির মা মারা যাওয়ায় ভাইয়ের বাসায় থাকতো। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে খুশলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, নগরের মাস্টার লেইন এলাকার বাসিন্দা রেলওয়ে কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসা থেকে জান্নাতকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে জানা যায়, স্বজনদের না জানিয়ে লালন-পালনের জন্য রেলওয়ে কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসায় দিয়ে এসেছিলেন শিশু জান্নাত আক্তারের খালাতো বোন সাজু আক্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৩
এমআই/বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।