ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আতর-টুপির দোকানে বাড়ছে ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
আতর-টুপির দোকানে বাড়ছে ভিড় ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: নতুন কাপড়, পায়জামা-পাঞ্জাবি কেনা শেষ হয়েছে অনেকের। এখন দরকার টুপি আর আতর।

তাই শেষ মুহূর্তে এসব দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি চলছে তসবিহ-জায়নামাজ বিক্রিও।

ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় নতুন টুপি চাই ছোট-বড় সবার। সঙ্গে গায়ে মাখতে হয় আতর। অনেকে সঙ্গে নিয়ে যান জায়নামাজ। তবে বিক্রেতারা বলছেন, গত রমজানের তুলনায় এখন বিক্রি অনেক কম।  

বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের তৈরি টুপি। এছাড়া পাকিস্তানের পাথরি, কাটা, সিন্ধি, হাজি ও রোমিথ টুপি কিনছেন অনেকে। হাতের নকশা করা গোল টুপি ১০০-১৫০ টাকা, বিভিন্ন রঙের টুপি ২০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আতরের মধ্যে প্রতি তোলা জান্নাতুল ফেরদৌস, জেসমিন, রোজ ও দিলরুবা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৫৫০ টাকা , রেড রোজ ১৫০০-১৮০০ টাকা, এরাবিয়ান বেলি ১২০০-১৫০০ টাকা, মর্নিং কুইন ২০০০-২২০০, আসওয়াদ ১০০০-১৪০০ টাকা, লাইলাতি ও মমতাজ ১৪০০-১৬০০ টাকা, দরবার, অ্যাঞ্জেল ও জমজম আতর ২৫০-৫৫০ টাকা, ভারতীয় বেলি ৫০০-৭০০ টাকা, ব্লু লেডি, ব্লু ফোরম্যান ৭০০-৯০০ টাকা, কুলম্যান ৮০০-১১০০ টাকা, দেশি আতর হাসনাহেনা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, বেলি ও নাইট ফ্লাওয়ার ৫০০-৭০০ টাকা, জৈতন ও নিমের মেসওয়াক ১০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রিয়াজুদ্দিন বাজারের আতর-টুপির দোকানের কর্মচারীরা জানান, আতর-সুরমা, টুপি, জায়নামাজ, তসবিহ বিক্রি হচ্ছে। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, দুবাই, ভারত ও ফ্রান্সের আতরও এখানে পাওয়া যাচ্ছে।  

আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ মার্কেটের দোকানি নিজাম উদ্দিন জানান, ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে আতর-টুপির বিক্রি হয়। তবে গত বছর রমজানের তুলনায় এবার বিক্রি কিছুটা কম। আতর-টুপির দামও বেড়েছে।

এই মার্কেটে টুপি ও আতর কিনতে আসা ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদে পরিবার সবার জন্য কেনাকাটা করেছি। এখন কিনছি টুপি আর আতর। সঙ্গে কিনবো জায়নামাজ। নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় আতর মেখে গেলে ভালো লাগে। সুগন্ধির প্রতি প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রচণ্ড অনুরাগ ছিল। নিয়মিত আতর ব্যবহার করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) শুধু মেশক-ই নয়, চন্দন ও জাফরানের সুগন্ধিও ব্যবহার করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।