ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মির্জাখীল দরবারের অনুসারীদের ঈদের নামাজ আদায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
মির্জাখীল দরবারের অনুসারীদের ঈদের নামাজ আদায় ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার শতাধিক গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের নিয়ম অনুসারে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

দরবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকালে মির্জাখীল দরবার শরিফের খানকাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। হজরত শাহ জাহাঁগীর শেখুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর শমসুল আরেফীন (ক.) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীনের (ক.) তত্ত্বাবধানে হজরত ইমামুল আরেফীন মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান ঈদের নামাজে ইমামতি করেন।

দরবার শরীফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাব মতে বিশ্বের যে কোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রায় দুইশ বছর পূর্ব হতে এভাবে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং চন্দ্র মাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল অনুশাসনসমূহ পালন করে আসছেন।

নামাজ শেষে শোনা হয় খুতবা। এরপর দোয়া। মঙ্গল কামনা শেষে কোলাকুলি করে প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হন সবাই। ঈদের নামাজের মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং দেশের মানুষের সুস্থতা কামনা করা হয়।

সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চর বরমা, কেশুয়া, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসখামা, কাঠাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতী এবং সীতাকুণ্ডের মাহমুদাবাদ, বারৈয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুর, মীরসরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের শতাধিক গ্রামের বহুসংখ্যক অনুসারী পবিত্র সওম পালন শেষে শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর  উদযাপন করছেন।

মির্জাখীল দরবার শরীফের মুখপাত্র মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে আমাদের নিকটবর্তী সময়ের কম ব্যবধান এবং আমাদের পূর্বের দেশসমূহে চন্দ্র দর্শন বিবেচনায় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ হতে চাঁদের অবস্থান এবং মক্কা ও মদীনা শরীফে তথা আরব বিশ্বের চাঁদ দেখার সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।