ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শ্রম আদালতে মামলার জট, ফাইল বন্দি বছরের পর বছর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, মে ১, ২০২৩
শ্রম আদালতে মামলার জট, ফাইল বন্দি বছরের পর বছর ...

চট্টগ্রাম: কাগজে কলমে শ্রম অধিকার নিয়ে সচেতন মহল সোচ্চার হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। শ্রমিকের অধিকার বুঝিয়ে দিতে এখনো গড়িমসি অনেক প্রতিষ্ঠানের।

শ্রমিকের অধিকার আদায়ে তাই গঠন করা হয় শ্রমিক আদালত। কিন্তু আদালত গঠন করা হলেও নিয়মিত কার্যক্রমের অভাবে জমেছে মামলার স্তূপ।
 

জানা গেছে, চট্টগ্রামে শ্রম আদালত রয়েছে দুটি। সেখানে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৮৮টি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে প্রথম শ্রম আদালতে ১ হাজার ৬৯৯টি এবং দ্বিতীয় শ্রম আদালতে ৬৮৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। দুটি আদালতে গত এক বছরে নিষ্পত্তি হয়েছে ৯৮১টি মামলা। এসব আদালাতে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে আটকে আছে প্রায় হাজার খানেকের বেশি মামলা।  

নিয়ম অনুযায়ী শ্রম আদালতে মামলা করার ৬০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হয়। এ সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৯০ দিন সময় নেওয়া যায়। তবে সেক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

আইনজীবীরা বলছেন, বিচারকশূন্যতা, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি, সমন জারিতে দেরি, জবাব দাখিলে আইনজীবীদের বারবার সময় নেওয়া সহ বিভিন্ন কারণে শ্রম আদালতে বছরের পর বছর ধরে মামলা ঝুলে আছে।

চট্টগ্রাম শ্রম আদালতের আইনজীবী এস এম সাহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিকের অধিকার আদায়ে মামলা করা হলেও সময়মতো এসব মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ধৈর্যহারা হয়ে অনেকে আর খোঁজ নিতে আসেন না। তাছাড়া আদালতে বিচারক স্বল্পতায় মামলার জট দীর্ঘতর হচ্ছে। তাছাড়া দুইপক্ষই বারবার সময় নেওয়ার কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে দেরি হয়। তবে মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার মাধ্যমে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২৩
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।