ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কূলে থাকায় স্বস্তিতে ট্রলারের মাঝিমাল্লারা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
কূলে থাকায় স্বস্তিতে ট্রলারের মাঝিমাল্লারা ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: নগরের ফিশারিঘাট বরফ কলের সামনে ইলিশ মাছের লাল জাল ট্রলারে তুলছিলেন চন্দ্রঘোনা লিচুবাগানের মো. জহির।  

রোববার (১৪ মে) দুপুরে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে এক ট্রিপ মাছ ধরা হলো না।

সামনে আবার সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ।
বেঁচে থাকাটাই সংগ্রামের। তারপরও স্বস্তি, মোখা’র সময় কূলে আছি। সাগরে থাকলে মহাবিপদ হতো।

এফবি মিয়া হাজি দৌলত-১ ট্রলারের মেশিনম্যান জালাল মিস্ত্রী বলেন, ২০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে তিন সপ্তাহ জাল মেরামত করছি। আজ দুপুরে শেষ হবে কাজ। এরপর কালুরঘাটের মদিনা ঘাটে চলে যাব। ঘূর্ণিঝড়ের পর নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর চলে যাব ট্রলার নিয়ে।

নতুন ট্রলার এফবি মুমতাহিন আয়েশার জন্য জাল মেরামত করছেন রামগতির মোহাম্মদ মহসিন। পঁয়ষট্টি বছরের মহসিন বিশ বছর বয়স থেকে সাগরে যান মাছ ধরতে। একবার ঘূর্ণিঝড়ে সাগরে ছিলেন।  বললেন, মনে হতো এই বুঝি ডুবে মরলাম। কত স্বজন সহকর্মী হারিয়েছি সাগরে। সাগরে নেটওয়ার্ক থাকে না। এখন নতুন নতুন যন্ত্রপাতি বের হচ্ছে। কিন্তু কাঠবডি ট্রলারে এ ধরনের যন্ত্রপাতি নেই বললেই চলে।

নোয়াখালীর ভুঁইয়ার হাটের মো. কবির (২২) দুইবার গেছেন সাগরে। বিয়ে করেছেন দুই মাস। মোখা’র কারণে আটকা ফিশারী ঘাটে। মেরামত করছেন ইলিশ মাছের লাল জাল। পরিবার বাড়ি থেকে ফোন করে নিরাপদে থাকতে বলেছে।  

তিনি বললেন, ছয় মাসে ১২-১৩ ট্রিপে সিজন। সিজন শেষ হলে লাভের অর্ধেক মালিকের। বাকিটা আমাদের ২২ জনের। সিজন শেষ হওয়ার আগে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।