ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বাধীনতাবিরোধীদের নৈরাজ্য প্রতিহত করবে ১৪ দল

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
চট্টগ্রামে স্বাধীনতাবিরোধীদের নৈরাজ্য প্রতিহত করবে ১৪ দল ...

চট্টগ্রাম: ১৪ দল চট্টগ্রাম মহানগরীর সমন্বয় কমিটির প্রথম সভায় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৪ দল চট্টগ্রাম মহানগরের সমন্বয়ক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম ১৪ দলের অস্তিত্ব ঝিমিয়ে পড়েছিল, সেই অস্তিত্বটা আবার পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলগুলোকে নিয়ে আবারো মাঠে নামতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা অনুযায়ী চট্টগ্রামে ১৪ দলের অস্তিত্বের পুনরুদ্ধার আবারও শুরু হলো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ১৪ দল পূর্ণশক্তি নিয়ে চট্টগ্রামের রাজপথে স্বাধীনতাবিরোধীদের নৈরাজ্য প্রতিহত করবে বলে ঘোষণা দেন খোরশেদ আলম সুজন।

শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে নগরীর দারুল ফজল মার্কেটস্থ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ১৪ দল চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয়ক কমিটির প্রথম সভায় তিনি সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

১৪ দলের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে সংগঠনগুলো আছে তাদেরকে নিয়ে ১৪ দল আবার জাগ্রত হয়েছে। এই জাগরণের মূল ইস্যু হচ্ছে দেশকে রক্ষা করা, ভালবাসা এবং যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি তাই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে আবার একটি চ্যালেঞ্জ এসেছে। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে এক মঞ্চে দাঁড়াতে হবে।

জাসদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ১৪ দল আমাদের একটি সম্মিলিত রাজনৈতিক শক্তি, যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী। একটা বিষয় লক্ষ্যণীয় যে আমাদের শরীক দলগুলো আন্দোলন কর্মসূচিতে মাঠে তেমন তৎপর নয়। এই শরীক দলগুলোর থানায়, ওয়ার্ডে তাদের সাংগঠনিক অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটাতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, প্রগতিশীল দলগুলো যারা আমরা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি তাদেরকে ধর্মীয় যেসকল সংগঠন ও জোট আছে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অস্তিত্বে বিশ্বাসী তাদের সঙ্গে যোগসূত্রতা রক্ষা করতে হবে। সরকারি প্রণোদনা প্রাপ্ত মসজিদগুলোতে ঈমাম যারা আছেন তারা কি আদৌ বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন কি না তাদের খোঁজ খবরটাও আমাদের নিতে হবে। যারা সরকারি প্রণোদনার বেনিফিসিয়ারি, কিন্তু আদৌ বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে না তাদের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে।

এ সময় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম–৮ আসনের সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, জাসদ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ওভীক ওসমান, ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, ন্যাপ চট্টগ্রামের গাজী আলমগীর, তরিকত ফেডারেশনের মোর্শেদ আলকাদরী, গণ আজাদী লীগের মাওলানা নজরুল ইসলাম আশরাফী, সাম্যবাদী দলের অমূল্য বড়ুয়া, ন্যাপ চট্টগ্রামের ফয়জুল্লাহ মজুমদার, গণতান্ত্রিক পার্টির স্বপন সেন।

সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, ওয়ার্কার্স পার্টির শরীফ চৌহান, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সফর আলী, ন্যাপের সমীরন দাশ, জাসদের নৃপ্রতি রঞ্জন বড়ুয়া, বেলায়েত হোসেন, মো. মফিজুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩ 
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।