ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিএমএ বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: ভারতীয় সেনা প্রধান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৩
বিএমএ বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: ভারতীয় সেনা প্রধান ৮৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে।

চট্টগ্রাম: ভাটিয়ারির বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিকে (বিএমএ) বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে।  

মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে ৮৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেন, আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক অনেক পুরোনো এবং আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধন আছে। আমাদের ভাষা-সংস্কৃতি ছাড়াও অন্য অনেক বিষয়ে মিল আছে।

আর যদি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা বলতে হয়- দুই দেশের একে অপরের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে তা প্রতিফলিত হয়। এটি সঠিক পথ ধরেই এগোচ্ছে, আর এ সম্পর্কের অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে।  

সামরিক সহযোগিতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে অনেক বড় ভূমিকা রাখছে। আর সামরিক সহযোগিতার জন্য আমরা তিন-চারটি বিষয়ে বিশেষ জোর দিচ্ছি। প্রথমটি অবশ্যই দুই দেশের সেনাদের যৌথ প্রশিক্ষণ, যাতে তারা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন। তারপর রয়েছে দুই দেশের যৌথ মহড়া। আমরা দুই দেশের সেনা সদস্যদের নিয়ে যৌথ মহড়া আয়োজন করে থাকি যাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। এই পরিদর্শনের মতো আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রায়ই পরিদর্শন করে থাকি। এ ছাড়াও আমরা সাংস্কৃতিক পরিদর্শনও করে থাকি যাতে দুই দেশের সেনা সদস্যদের পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়।  আর সবশেষে, দুই দেশের যৌথ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি ও উৎপাদনে অনেক ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে এটি একটি সম্ভাবনাময় দিক।  

তিনি বলেন, আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করছি, বিএমএর কমান্ড্যান্ট আমাকে ব্রিফ করেছেন। সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ঘুরে দেখিয়েছেন। সব দেখার পর আমি বলতে চাই, এটি একটি বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। প্রশিক্ষণগত দিক দিয়ে বলতে চাই, আমার মনে হয় পেশাগত সামরিক শিক্ষা নেতৃত্বের পাশাপাশি একাডেমিকের একটি ভালো সামঞ্জস্য রয়েছে। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে উন্নয়ন সাধনের জন্য অনেক নতুন প্রযুক্তি আনা হয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে আমার মনে হয় সুযোগ সুবিধা, অবকাঠামো, প্রশাসন আর এলাকা সব মিলিয়েই মিলিটারি একাডেমির জন্য বিএমএ উপযুক্ত।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, কমান্ড্যান্ট বিএমএ এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।  

দীর্ঘ তিন বছরের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে এ মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের বাংলাদেশি ১২৩ জন পুরুষ, ২৩ জন নারী, ১ জন দক্ষিণ সুদানের এবং ০১ জন তানজানিয়ার মিলে ১৪৮ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। বিদেশি নবীন অফিসাররা স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর নিজ নিজ দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৩
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।