ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ২ জন বহিষ্কার, প্রহসন বলছে চবিসাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ২ জন বহিষ্কার, প্রহসন বলছে চবিসাস বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ বহিষ্কারাদেশ আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছয়মাসের মধ্যে বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বা অন্য কোনো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

বহিষ্কৃতরা হলেন- চবি ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ, শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার বলেন, বুধবার তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় দোষীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।

তবে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত অসন্তোষ চবি সাংবাদিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, বিচারের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রহসন করছে৷ আমরা এ রকম বিচার চাইনি। এটা শুধুমাত্র লোক দেখানো বিচার৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অপরাধীদের কাছে জিম্মি মনে হচ্ছে। অপরাধীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চেয়ে ক্ষমতাধর, সেটাই প্রমাণ করলো তদন্ত কমিটি৷ আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট না৷ সন্তোষজনক রায় না পেলে আমরা আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো৷

চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ৬ মাস বহিস্কারের এ সিদ্ধান্ত আমাদেরকে বেশ আশাহত করেছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এ বিচার কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না। ভুক্তভোগী সাংবাদিক এখনও হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। এই শাস্তির নামে মূলত অপরাধীদেরকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী করণীয় আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেবো।

এর আগে গত ১৯ জুন রাতে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও একটি অনলাইন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি দোস্ত মোহাম্মদকে মারধর করে ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতাকর্মী। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনা তদন্তে ২০ জুন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।