ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দীপশিখা খেলাঘর আসরের সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
দীপশিখা খেলাঘর আসরের সম্মেলন ...

চট্টগ্রাম: নগরের এনায়েত বাজারের চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে দীপশিখা খেলাঘর আসরের সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুন) বিকাল ৫টায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় পতাকা ও খেলাঘরের পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়।

 

এরপর প্রদীপ প্রজ্বালন করেন খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলামসহ অতিথিরা। খেলাঘরের ভাইবোনদের পরিবেশনায় ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের সাথে নৃত্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক শিল্পী জয়ন্তী লালা বলেন, শিশুদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে খেলাঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। যে শিশুরা সেখানে গান, নাচ, আবৃত্তি শিখেছিল আজ তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। আমিও তখন থেকে খেলাঘরের সাথে যুক্ত। অভিভাকদের বলছি, শিশুদের ভালো ফলের জন্য চাপ দেবেন না। এতে তারা কিছু করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। খেলা হারিয়ে যাচ্ছে, শৈশব আটকে যাচ্ছে মোবাইলে। কোন শিশুর কিসে প্রতিভা তা জানতে হবে, সুযোগ দিতে হবে তাদের। তাহলে ভালো শিল্পী, খেলোয়াড় আমরা পাব।  

সম্মেলনের উদ্বোধক খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিশুরাই এই পৃথিবীর সত্যিকারের রাজা। তাদের বিকাশের জন্য প্রয়োজন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা। শিশুরা শুধু পরিবার বা দেশের সম্পদ নয়, সারা পৃথিবীর সম্পদ। সকলের ভালোবাসায় শিশুরা বড় হবে। তারা এমন এক বিশ্ব গড়বে যা সব মানুষের বাসযোগ্য হবে৷ তাই  আনন্দময় হতে হবে শিশুদের শৈশব।  

সম্মেলনের আলোচনা পর্বে বিশেষ অতিথি এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সোহানা শারমিন তালুকদার বলেন, আমরা এমন একটি সময় অতিক্রম করছি যেন সবকিছুতে অস্থিরতা। এর নেপথ্যের কারণ সাংস্কৃতিক চর্চার অভাব। ১৯৫২ সাল থেকে খেলাঘর সাংস্কৃতিক চর্চায় কাজ করে চলেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন অনেক অনুষ্ঠান হয়। এই চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।  

অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, সহ-সভাপতি শিল্পী অজিত আইচ, সহ-সভাপতি কবি আশীষ সেন, সহ-সভাপতি ও শিক্ষক নেতা অঞ্চল চৌধুরী, জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চট্টগ্রাম সাহিত্য বাসর চক্রের সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক বিজয় শঙ্কর চৌধুরী, রাজনীতিবিদ জামশেদুল আলম চৌধুরী,  শিক্ষক মার্গারেট মনিকা জিনস।

বক্তব্য দেন খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলম চৌধুরী, জলছবি খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার জাহান মনি, জলছবি খেলাঘর আসরের সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিউল আলম, অঙ্কুর খেলাঘর আসরের সহ সভাপতি সঞ্জয় রায়, মেঘমল্লার খেলাঘর আসরের শিক্ষা ও বিজ্ঞান সম্পাদক সুমন রায়।  

স্বাগত বক্তব্য দেন দীপশিখা খেলাঘর আসরের আহ্বায়ক রুবেল দাশ প্রিন্স এবং সম্মেলন উদযাপন পরিষদের সভাপতি ইন্দিরা চৌধুরী।  

সম্মেলনে স্মরণ করা হয় খেলাঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক কবি হাবিবুর রহমান, শহীদুল্লাহ কায়সার, রণেশ দাশগুপ্ত, সত্যেন সেন ও বজলুর রহমানকে। এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় সদ্য প্রয়াত রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন, খেলাঘর সংগঠক কবি মাহবুবুর রহমান সাবু, আশীষ চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি।  

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিচালনা করেন টিনা বিশ্বাস ও নৃত্য পরিচালনা করেন হিল্লোল দাশ সুমন। উপস্থাপনা করেন খেলাঘরের অঙ্কিতা আচার্য।  

সবশেষে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক জয়ন্তী লালাকে সভাপতি, রুবেল দাশ প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক এবং অনামিকা চৌধুরীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।