ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঈদে নগরীর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
ঈদে নগরীর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি গেছেন অনেকে। খালি বাসা-বাড়িতে ঝুলছে তালা।

নগরী থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষ ঈদ উপলক্ষে শহর ছেড়েছেন। অনেকটা ফাঁকা নগরী।
এই সময়টাতে বাড়ে চোর ও গ্রিল কাটা পার্টির অপতৎপরতা।  

এ অবস্থায় ঈদে নগরীর নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এর প্রায় দুই হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আবাসিক এলাকাগুলোতে চলছে টহল। বাসা-বাড়ি ছাড়াও দোকানপাট, অফিস, কল-কারখানা ও বিনোদন কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা দেখভাল করছে পুলিশ।  

সিএমপির বিভিন্ন থানার কর্মকর্তারা জানান, প্রতিটি থানা এলাকায় নিয়মিত টিমের পাশাপাশি অতিরিক্ত টিম রয়েছে। মোবাইল টিম, ফুট পেট্রল, মোটরসাইকেল পেট্রলের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ঈদের ছুটিতে তারা দায়িত্ব পালন করছেন।

নগরীর ঈদ জামাতেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অন্যান্য ঈদ জামাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। জানা গেছে, বাড়তি নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ডিবি, সিআইডি, পিবিআই, র‌্যাব এবং এপিবিএনের সদস্যরা।

সিএমপির পক্ষ থেকে চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে নিরুৎসাহিত করা, অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া কোন কিছু খাওয়া বা পান করা থেকে বিরত থাকা, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি এবং টিকিট কালোবাজারীদের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা জানান, ঈদের ছুটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। ঈদের ছুটির কারণে নগরী ফাঁকা পেয়ে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছিনতাইকারীরা যাতে বেপরোয়া হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সড়কে নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশ

ঈদে মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে তৎপর হাইওয়ে পুলিশ। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশুবাহী যানবাহনের নিরাপদ চলাচল ও চাঁদাবাজিমুক্ত মহাসড়ক নিশ্চিত করতেও কঠোর অবস্থানে ছিল হাইওয়ে পুলিশ। এছাড়া নির্বিঘ্নে গাড়ি চলাচল, যাত্রীর নিরাপত্তা এবং মানুষের স্বস্তির ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশের এই স্বতন্ত্র ইউনিট।
 
হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে কোথাও কোনো সংগঠন বা কোনো চক্রকে চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হচ্ছে না। কারো বিরুদ্ধে পশুবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজির তথ্য পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে রিজিয়নের ২২টি থানা/ফাঁড়ির ২ পালায় ৬৬টি পেট্রল টিমের পাশাপাশি কোনো ইমার্জেন্সি সামাল দিতে ৩০টি কুইক রেসপন্স টিম রাস্তায় দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ৫টি সরকারি ও ১২টি বেসরকারি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় হতাহতের সেবার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো যানবাহন না থামানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২টি গোয়েন্দা টিম কাজ করছে।  

‘একটি পূর্ণাঙ্গ কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি থাকছে ৫টি সাব-কন্ট্রোল রুম। রিজিয়নের ৮২১ কিলোমিটার জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। রাত্রিকালীন যানবাহনে ডাকাতি রোধে ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশের সদস্য ছাড়াও বিশেষ ইউনিফর্মে থাকছে হাইওয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ১০০ প্রশিক্ষিত সদস্য। মহাসড়কগুলোতে স্পিড গান ব্যবহার করা হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ বিশেষ নজর রাখছে’।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।