ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘শুধু ভোগ-বিলাসের জন্য রাজনীতি হতে পারে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৩
‘শুধু ভোগ-বিলাসের জন্য রাজনীতি হতে পারে না’

চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নির্লোভ এবং শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণকামী, রাজনীতিক মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরী শুধু চট্টগ্রামের গৌরবই নন তিনি উপমহাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাতায় চির অক্ষয় হয়ে থাকবেন।

তাঁর মতো জনদরদী ও পরিশুদ্ধ রাজনীতিকের অভাব এখন রয়েছে। তিনি কখনো ভোগ ও বিলাসের জন্য রাজনীতি করেননি।
মানবকল্যাণই ছিল তাঁর একমাত্র ব্রত।  

শনিবার (১ জুলাই) সকালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইতিহাস জানান দেয়, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি প্রথম চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরীর কাছে পাঠিয়েছেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, বঙ্গবন্ধু ও জহুর আহমদ চৌধুরী একাত্মা ও অবিচ্ছিন্ন।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান হিসেবে পিতার স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করাটা আমার জন্য মহান প্রাপ্তি। পিতার সাধারণ জীবন-যাপন এবং রাজনৈতিক সততা আমি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছি। তাঁর অসংখ্য স্মৃতি সর্বক্ষণ চোখের সামনে ভাসে। জহুর আহমদ চৌধুরী একজন সৃজনশীল রাজনীতিক ছিলেন। আজকের দিনের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের তাঁর পথ অনুসরণ করার ঐতিহাসিক দায়বদ্ধ রয়েছে।  

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা স্তম্ভ। তাঁর জীবন কর্ম নিয়ে বহু আলোচনা হয়। প্রশ্ন জাগে তা আমরা কতটুকু অনুসরণ করি বা পালন করি। জহুর আহমদ চৌধুরীর মতো রাজনীতিকেরা ভোগ বিলাসের জন্য রাজনীতি করেননি। অর্থ বিত্তের প্রতি কোন মোহ ছিলনা। দলের পদ-পদবীকে ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য ব্যবহার করেননি। আমরা যারা আজ রাজনীতি করি এই সততা ও পবিত্রতা কতজন ধারণ করি? 

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ এবং এই যাবৎকালের সকল অর্জন ও প্রাপ্তি ধুয়ে মুছে যাবে। এ কারণে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই নির্বাচনে চট্টগ্রামের মহানগরীর আওতাধীন ৩টি ও নগরী সংলগ্ন ৩টি আংশিক সহ ৬টি আসনে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যাকে দলীয় প্রতীক দেবেন তাঁকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে এখনি কর্ম উদ্যোগ নিতে হবে।  

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, উপদেষ্টা সফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসানী ও সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ শমসের প্রমুখ।  

এর আগে মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরীর নগরের দামপাড়াস্থ পল্টন রোডের কবর প্রাঙ্গণে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল শেষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৩
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।