ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩৪ শিক্ষকের ৬ দাবির নেপথ্যে চবি প্রশাসন থেকে পদত্যাগকারীরাই

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
১৩৪ শিক্ষকের ৬ দাবির নেপথ্যে চবি প্রশাসন থেকে পদত্যাগকারীরাই

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: কর্মক্ষেত্রে নানান অসামঞ্জস্যতা সমাধানকল্পে ৬ দাবিতে গত ১২ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য বরাবর ১৩৪ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয়।  

শিক্ষকদের এ দাবিগুলোর প্রেক্ষিতে গতকাল (১৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪৪তম সিন্ডিকেট সভায় ৪ সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

সিন্ডিকেট সদস্য ড. নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসানকে, সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হাছান মিয়া। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দিন।

 

এদিকে জানা গেছে, এসব দাবি আদায়ের পেছনে মূলত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে চলতি বছরের ১২ ও ১৩ মার্চ চবি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্ষদ থেকে একযোগে পদত্যাগ করা ১৯ জন শিক্ষক। এমনকি ১৯ শিক্ষকের পদত্যাগ ও উপাচার্যের সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্টির পেছনেও ছিলো এসব দাবি বাস্তবায়নের কর্তৃপক্ষের টালবাহানা।  

পদত্যাগকারী একাধিক শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্ষদে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বর থেকে এসব দাবি জানিয়ে আসছিলাম আমরা। তবে বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় একপর্যায়ে উপাচার্য এবং শিক্ষকদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্ষদ থেকে বড় একটি অংশ পদত্যাগ করেন।

তারা আরও বলেন, দাবিগুলো জানানো হলে চবি উপাচার্য প্রতিবারই পরবর্তী সিন্ডিকেটে তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এভাবে কয়েকটি সিন্ডিকেটে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় উপাচার্যের সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয় শিক্ষকদের। যার ফলে গত ১২ মার্চ চবি প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, হল প্রভোস্টসহ ১৮টি পদ থেকে মোট ১৬ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন। এ ঘটনার একদিন পর ১৩ মার্চ আরও ৪টি পদ থেকে ৩জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন।

এদিকে গত ১২ জুলাই ১৩৪ জন শিক্ষকের স্বাক্ষর নিয়ে দাবিগুলো পুনরায় উত্থাপন করে উপাচার্য বরাবর দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কর্মক্ষেত্রে নানান অসামঞ্জস্যতা দূর করার জন্য বিভিন্ন সময় আমরা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং ন্যায্য দাবি প্রশাসনের নিকট জানালেও এখন পর্যন্ত এর কোনও সুরাহা হয়নি।

শিক্ষকদের ছয় দাবি:
সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদন্নোতির ক্ষেত্রে অসমতা নিরসনে আবেদনের তারিখ থেকে পদোন্নতি কার্যকর করা। একাডেমিক (পদোন্নতি) কাজে গবেষণা প্রবন্ধের প্রধান লেখক ও সংশ্লিষ্ট লেখককে সমান গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা। অনর্জিত ইনক্রিমেন্ট এর বকেয়া প্রদান। পোষ্ট ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য বরাদ্দকৃত ছুটির মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দূরীকরণ। প্রশাসনিক ভবনে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং ডে কেয়ার সেন্টার চালু করা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
এমএ/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।