ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কোনো অবস্থাতেই সংবিধানের বাইরে নির্বাচন হবে না: কৃষিমন্ত্রী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
কোনো অবস্থাতেই সংবিধানের বাইরে নির্বাচন হবে না: কৃষিমন্ত্রী 

চট্টগ্রাম:  কোনো অবস্থাতেই সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।  

সোমবার (১৭ জুলাই) রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর উদ্যোগে ৫ লাখ ফলের চারা বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

  

তিনি বলেন, যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। ডায়লগ হতেই পারে।

কিন্তু আমি মনে করি, প্রথম তাদের স্বীকার করতে হবে তারা নির্বাচনে আসবে এবং সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। আমাদের সংবিধানের ১২৬ ধারায় সুস্পষ্ট বলা আছে- সবাই নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, চিফ অব স্টাফ, আইজিপি, কেবিনেট সেক্রেটারি প্রত্যেকটা মানুষের দায়িত্ব হইলো নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা। কাজেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না হবে এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার দায়িত্ব না। এ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেই ক্ষমতাকে ব্যবহারে তারা যদি ব্যর্থ হয় আমরা কী করবো। কাজেই কোনো অবস্থাতেই সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন হবে না।  

তারপরও উনারা যদি বলে- আমরা নির্বাচনে আসব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবেন ক্ষমতায়। তারপরও যদি বলে, অমুক এসপিকে সরাতে হবে, অমুক ডিসিকে সরাতে হবে সে দলীয় বা আওয়ামী পন্থী। সেগুলো আলোচনা করে কিছুটা সমাধান করা যাবে। এর বাইরে কিচ্ছু করার নেই।  

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ডিসিদের অনেকেরই তিন বছর হয়ে গেছে, দুই বছর হয়ে গেছে। নির্বাচন আসছে। কাজেই আমরা সরিয়ে নতুনদের দিচ্ছি। এটা যোগ্যতার ভিত্তিতে দিতে হয়। কেবিনেট সেক্রেটারির নেতৃত্বে একটি ইন্টারভিও বোর্ড হয়। অনেক প্রক্রিয়া। সবাই ডিসি, এসপি হতে পারে না। এর জন্য নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়।  

রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বিএনপি যেটা চাইছে গোলপোস্ট থাকবে, গোলকিপার থাকবে না। বিচার মানি তালগাছটা ওদের। ওরা ২০০১ সালে কী করেছে রাউজানবাসী সাক্ষী আছে। ওদের কথা হচ্ছে ওদের ধরে নিয়ে কেউ সিংহাসনে বসিয়ে দিক। আমি তো বহুদিন ধরে বলছি, একটা মানুষের নাম বলুক যে দেশ কে পরিচালনা করবে।  তারা শান্তিতে দেশ চলুক এটা চায় না। রাউজানে সাড়ে তিনশ মানুষ মার্ডার হয়েছে। কই আওয়ামী লীগ আমলে তো একটা মার্ডারও হচ্ছে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নয়ন হচ্ছে। তারা অগ্নিসংযোগ করবে, ভাঙচুর করবে, লুটপাট করবে। এগুলোর সাক্ষী আমার চেয়ে বেশি কেউ জানবে না। আমাকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে একের পর এক মামলা দিয়েছে। এখানে জ্ঞানজ্যোতি ভিক্ষুকে হত্যা করেছিল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।