ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাল ব্যাংক স্লিপে হচ্ছে নকশা অনুমোদন, জড়িত সিডিএর কর্মচারী  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
জাল ব্যাংক স্লিপে হচ্ছে নকশা অনুমোদন, জড়িত সিডিএর কর্মচারী  

চট্টগ্রাম: ভবনের নকশা অনুমোদনের ফরমে ব্যাংকের সীল স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) একাধিক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।

 এনিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানটির সচিব বরাবর চিঠিও দিয়েছেন।

জানা গেছে, সিডিএর অথরাইজড বিভাগের এমএলএসএস ও এলডি পদের দুই কর্মচারী এ কাজের সঙ্গে জড়িত।

ভুয়া ব্যাংক স্লিপ দেখিয়ে নকশা অনুমোদন ফাইল পাশ করিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। ৪ বছর ধরে এমন কাজ চললেও কারো নজরে পড়েনি এমন ঘটনা।  

নিয়ম অনুযায়ী সিডিএর নির্ধারিত পূবালী ব্যাংকের শাখায় ভবনের নকশা অনুমোদনের আবেদনের জন্য প্রতি ফরম বাবদ ২ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। এসব নকশা অনুমোদনের কাজ বেশিরভাগই করে এ করেন একটি সুসংগঠিত দালাল চক্র। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির নিম্ন পদের কর্মচারী থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও।

জাল ব্যাংক স্লিপের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সিডিএতে চাউর হওয়া পর থেকে কোনো কর্মকর্তারাই গণমাধ্যমে কথা বলতে নারাজ।  

তবে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বিষয়টি বাংলানিউজের কাছে স্বীকার করেন। তবে তিনিও ঘটনার সঙ্গে কয়জন জড়িত বা কতটাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

তিনি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিডিএ সচিব বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চিঠি দিয়েছি। কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে একাধিক সুত্র জানায়, গত ২৮ আগস্ট অথরাইজড শাখা-১ এ নকশা অনুমোদনের জন্য জমা হওয়া প্রায় ৪৭টি বিসি কেইচ নথির মধ্যে ৪৬টি নথির ব্যাংকে জমা করা টাকার স্লিপ জাল। যার বেশিরভাগই অভিযুক্ত দুই কর্মচারীর হাত দিয়ে জমা পড়েছে। বিষয়টি গ্রাহকরা জানতে পারলে ওই দু’কর্মচারীর কাছে টাকা ফেরত চান। এতে বাধ্য হয়ে টাকা ফেরতও দেন তারা।

শুধু তাই নয়, একইভাবে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্রের জন্য জমা দেওয়া নথিতেও ব্যাংক স্লিপ জাল করে জমা দেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। ফলে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র অনুমোদন আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।  

ব্যাংক স্লিপ জালিয়াতি বিষয়ে জানতে সিডিএ সচিব মো. মিনহাজুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে আবার চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
এমআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।